‘দ্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস, ওয়েস্ট বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর (আইআইএ) —ফাইল চিত্র।
ঐতিহ্যশালী ভবনের কাঠামোগত চরিত্র, শৈলী অক্ষুণ্ণ রাখতে ঐতিহ্য সংরক্ষণবিদদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব উঠল স্থপতিদের সংগঠন ‘দ্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস, ওয়েস্ট বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর (আইআইএ) তরফে।
২ অক্টোবর ‘বিশ্ব স্থাপত্য দিবস’ (ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচার ডে)। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার নন্দন-৩ এ এই সংক্রান্ত এক আলোচনা যৌথ ভাবে আয়োজন করে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন এবং আইআইএ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আইআইএ-র তরফে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে কমিশন পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এগোতে পারে।
আইআইএ, পশ্চিমবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান রীতম সরকার জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই অনেক ঐতিহ্যশালী ভবন সংরক্ষণে বিপত্তি দেখা গিয়েছে। কারণ, ঐতিহ্য সংরক্ষণবিদের তত্ত্বাবধানে সেখানে কাজ করা হয়নি। রীতমের কথায়, ‘‘ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা যাতে আটকানো যায়, তাই কমিশনের কাছে আগামী দিনে প্রস্তাব পাঠানোর ভাবনা রয়েছে।’’
এ দিন কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ কমিটির সদস্য তথা ঐতিহ্য বিশারদ হিমাদ্রি গুহের ‘বিল্ট হেরিটেজেস অব কলকাতা’ বইটি প্রকাশিত হয়। বইটিতে লেখক ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের নির্মাণশৈলী থেকে শুরু করে বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে মেট্রোর সুড়ঙ্গ বিপর্যয়, সেখানকার মাটির চরিত্র অতীতে কী ছিল এবং বর্তমানে কী হয়েছে, ফলে সেখানকার নির্মাণের উপরে কী প্রভাব পড়ছে— এমন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। শুধু আলোচনাই নয়, দেশ-বিদেশের আর্কাইভ থেকে নিজের যুক্তির সপক্ষে নথি জোগাড় করেছেন। বইটিতে দুর্লভ সেই সমস্ত নথি-ই পর্যায়ভুক্ত হয়েছে। হিমাদ্রি গুহের কথায়, ‘‘ঐতিহ্যের নিজস্ব একটি ইতিহাস রয়েছে। সেই ইতিহাসকে যতটা ধরা সম্ভব, সেটাই চেষ্টা করেছি বইটিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy