পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে হাই কোর্টে মামলা করেছেন এক রোগীর আত্মীয়। ছবি: সংগৃহীত।
ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের জেরে বিড়ম্বনা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ, হাসপাতালের অধ্যক্ষ-সহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানকে আটক করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। এর ফলে বিপাকে পড়ছেন রোগীর পরিজন। আরও অভিযোগ, প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে ইট দিয়ে তালা ভেঙে প্রশাসনিক ব্লকের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছেন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের দাবি, ওয়ার্ডে রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছচ্ছে না, সকাল থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি, এক্সরে এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ বন্ধ। স্থগিত কিছু অস্ত্রোপচারও বলে দাবি রোগীর পরিজনদের। এই ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকেও কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে হাই কোর্টে মামলা করেছেন এক রোগীর আত্মীয়। রোগীর পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত। ঘেরাও অবিলম্বে তুলে রোগীর পরিজনদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হোক, এই আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বুধবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কিছু রোগীর পরিবারকেও সুপারের ঘরের সামনে হাজির হতে দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য কিছু কাগজপত্রে সুপারের সই লাগবে, সেগুলি নিয়েই সুপারের ঘরের সামনে অপেক্ষা করেছেন তাঁরা। এমনকি, ইট দিয়ে গেটের তালা ভাঙতে দেখা যায় রোগীর পরিজনদের। তালা ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে চান তাঁরা। কিন্তু পরে বিক্ষোভকারীরা আবার চেন দিয়ে গেট আটকে দেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ছাত্র সংসদ ভোট নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। রাতভর বিক্ষোভ চালিয়েছেন তাঁরা। ২০১৬ সালের পর আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। বহু দিন ধরেই ভোট নির্বাচনের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। কলেজের তরফে জানানো হয়েছিল, ২২ ডিসেম্বরে ভোট নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। কোনও কারণে তা পিছিয়ে যায়। পরে এই প্রসঙ্গে আর কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় আবার সোমবার দুপুর থেকে বিক্ষোভে নেমেছেন ছাত্রছাত্রীরা।
বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে দু’জন ছাত্র অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভ দেখাতে শামিল হয়েছেন হাসপাতালের ইন্টার্নরাও। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও এক বিক্ষোভকারীর দাবি, যাঁদের ডিউটি নেই, তাঁরাই বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন। পরিষেবার কোনও গাফিলতি হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। যদিও সেই দাবি মানছেন না রোগীর আত্মীয়রা। সব মিলিয়ে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy