বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়িতে অবস্থান-যন্ত্র বসানোর চূড়ান্ত সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল ৩১ মার্চ। ফাইল ছবি।
বাণিজ্যিক যাত্রিবাহী যানে অবস্থান-যন্ত্র (ভেহিক্ল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস) বসানোর চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৩১ মে করা হল। বুধবার রাজ্য পরিবহণ দফতরের ময়দান তাঁবুতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই খবর জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানান, রাজ্যে এই যন্ত্রের যা বিপুল চাহিদা, সেই অনুযায়ী নির্মাতা সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা জোগান দিতে পারবে না। সেই কথা ভেবেই সময়সীমা বাড়ানো হল।
উল্লেখ্য, বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়িতে অবস্থান-যন্ত্র বসানোর চূড়ান্ত সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল ৩১ মার্চ। তার পরেই গণপরিবহণের সংগঠনগুলির তরফে যন্ত্রের চড়া দাম নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। সেই সমস্যার সমাধানে এ দিন পরিবহণমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ১২টি সংস্থার বাইরে আরও বেশি সংখ্যক সংস্থাকে ওই যন্ত্র নির্মাণ এবং তার পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ দিতে চায় রাজ্য। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। সরকারের আশা, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী কয়েক মাসে অবস্থান-যন্ত্রের দাম খানিকটা কমতে পারে।
২০১৯ সালের আগে তৈরি হওয়া রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার বাণিজ্যিক যাত্রিবাহী যানে এই অবস্থান-যন্ত্র বসাতে হবে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তা বসানো হয়েছে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো গাড়িতে। ফলে, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করা কার্যত অসম্ভব ছিল। সেই পরিস্থিতি বুঝেই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর ফলে বেসরকারি যাত্রিবাহী যানের মালিকেরা সাময়িক স্বস্তি পেলেন। কারণ, এই সময়ের মধ্যে তাঁরা ওই যন্ত্র না বসিয়েও গাড়ির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র পাবেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও যন্ত্র বসানো না হলে এককালীন জরিমানা লাগতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy