—প্রতীকী চিত্র।
এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে ছোটন রায় (১৬) নামে ওই স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত দেহ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। সে হিন্দু স্কুলের একাদশ শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়া ছিল। মানিকতলা থানা এলাকার বিধান শিশু উদ্যানের পুলিশ আবাসনে মায়ের সঙ্গে থাকত ওই ছাত্র। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় অবসাদজনিত কারণে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পরে পড়ুয়াদের মানসিক অবস্থার প্রসঙ্গে সজাগ থাকতে স্কুলে মনোবিদ রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে হিন্দু স্কুল।
পুলিশ জানায়, ছোটনের বাবা প্রয়াত সঞ্জয়কুমার রায় কলকাতা পুলিশেরই কর্মী ছিলেন। কয়েক বছর আগে সঞ্জয়বাবুর মৃত্যুর পরে তাঁর চাকরি পান স্ত্রী লিপিকা রায়। সোমবার দুপুরে তিনি কাজ সেরে পুলিশ আবাসনের ন’তলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে ফিরে ডাকাডাকি করেও ছেলের সাড়া পাননি। পরে প্রতিবেশীরা এসে মানিকতলা থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ছোটনের দেহ উদ্ধার করে। আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ছোটনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত
করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই পড়ুয়ার সঙ্গে স্থানীয় এক কিশোরীর সম্পর্ক ছিল। কিশোরীর পরিবারের তরফে তা নিয়ে আপত্তি তোলা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, এ দিন ছোটনের মা কাঁদতে কাঁদতে ছেলের মৃত্যুর জন্য সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াকেই
দায়ী করেছেন।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইএসডি) দেবস্মিতা দাস বলেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফোনের কলের তালিকা পরীক্ষা করা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
ঘটনার কথা জেনে হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘ছেলেটির আচরণ স্বাভাবিক ছিল। তাও মনে হয় পড়ুয়াদের মনের অবস্থা বুঝতে স্কুলে মনোবিদ
রাখার প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy