আগামী মঙ্গলবার একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। তার আগে স্কুলের দুই পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং অন্য পড়ুয়াদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর-সহ গোটা ‘ট্যাবুলেশন’ তালিকাই নিখোঁজ! আর তা জানতেনই না শ্যামবাজারের সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড শিল্প শিক্ষা সদন-এর প্রধান শিক্ষিকা।
স্কুল জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে ট্যাক্সিতে নথিগুলি ফেলে আসার পরে প্রধান শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্যকে তা জানাননি স্কুলের কর্মী শুভ্রজিৎ ঘোষাল। তবে গরফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে কালিকাপুরের বাসিন্দা গৌতম চক্রবর্তী নামে এক জনের তৎপরতায় শনিবার বিকেলে ওই নথি ফিরে পান স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, ‘‘নথিগুলি পাওয়া না গেলে পরীক্ষাটাই হত না।’’ আর প্রধান শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠার মন্তব্য, ‘‘ওই ব্যক্তিকে ধন্যবাদ। আমি বিষয়টি জানতামই না।’’ শুভ্রজিৎ শুধু বলেছেন, ‘‘পুলিশে তো জানিয়েছিলাম।’’
শর্মিষ্ঠা জানান, একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে ভুল ছিল। বিষয়টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে জানানো হয়।
শুক্রবার সংসদ থেকে সংশোধিত নথি আনতে যান শুভ্রজিৎ। ফেরার পথে ট্যাক্সি থেকে হালতুর কায়স্থপাড়ায় নামেন তিনি। নথি-সহ প্যাকেট ট্যাক্সিতে রয়ে যায়। পরে ট্যাক্সিচালক প্যাকেটটি স্থানীয় বাসিন্দা গৌতমবাবুর হাতে তুলে দেন। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘পাড়ায় বসেছিলাম। হঠাৎ এক ট্যাক্সিচালক হাতে প্যাকেটটি ধরিয়ে চলে যান। খুলে দেখি, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। স্কুলের ঠিকানা দেখে শ্যামবাজারে আমার বন্ধু শ্যামল চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করি।’’
বিষয়টি ফেসবুকে লেখেন শ্যামলবাবু। এ দিন তিনিই ওই স্কুলে যান। শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘স্কুলে গিয়ে দেখি, প্রধান শিক্ষিকা জানেনই না। আমি বলি, আপনারা যখন জানেন না, তখন পুলিশকেই নথিগুলি দেওয়া ভাল।’’ পরে প্রধান শিক্ষিকা শ্যামলবাবুর সূত্রে গৌতমবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পরে নথিগুলি ফেরত পান। এর মধ্যেই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট খোয়া গিয়েছে জানিয়ে এক ছাত্রী ফেসবুকে শ্যামলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই ছাত্রী এ দিন বলে, ‘‘পরীক্ষাটাই দেওয়া হত না। ওই কাকুদের ধন্যবাদ।’’ যদিও তার বাবা বলছেন, ‘‘ট্যাক্সিচালককেও সতর্ক থাকতে হত। তাঁর তো নথিগুলি পুলিশে দেওয়ার কথা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy