—ফাইল চিত্র
কলকাতা পুরসভার ভোটার, কিন্তু পুরসভার কোনও পরিষেবা পান না তাঁরা। আসলে যে মৌজায় তাঁদের বসবাস, তা দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রামীণ ও পুর এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই পরিষেবার জন্য ছুটতে হয় সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ও পুর এলাকায়। এ বার ওই সমস্ত এলাকাই কলকাতা পুরসভার অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর কলকাতা পুর নির্বাচনের কথা ভেবেই কি ভোটারদের মন জয়ে এমন উদ্যোগ পুর প্রশাসনের? সোমবার পুর ভবনে এক প্রশাসনিক বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত ঘিরে এমনই প্রশ্ন উঠছে পুর মহলে।
ওই বৈঠকে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন-সহ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র, মৎস্য, পূর্ত, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক পদস্থ কর্তা হাজির ছিলেন। পুরসভা সূত্রের খবর, ইএম বাইপাস এবং জোকা এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে এমন বহু বাসিন্দা রয়েছেন, যাঁরা কলকাতা পুরসভার ভোটার হলেও পুর পরিষেবা পান না। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই সমস্ত জায়গায় সমীক্ষা করাতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ছ’টি দল গঠন করবে। তৈরি হবে ভুক্তভোগীদের তালিকা। ওই দলে এক জন করে আমিনও থাকবেন। কলকাতা পুরসভার এক জন করে প্রতিনিধিও থাকছেন দলে। আগামী এক মাস ধরে ওই কাজ চলবে। তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ দিকে, শহরে পুকুর ভরাট রুখতে মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। এ ব্যাপারে মেয়র বৈঠকে জানান, প্রতিটি এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়ে ওই কাজ করানো হবে। শুধু পুরসভার পুকুর নয়, শহরের যে সমস্ত পুকুর পুর প্রশাসন দেখাশোনা করে, সেখানেও মাছ চাষ করা হবে। বৈঠকে একাধিক বরো চেয়ারম্যানও হাজির ছিলেন। তাঁরা দাবি তোলেন, আধার কার্ডের জন্য বরোগুলিতে ফের কেন্দ্র খোলা হোক। তবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত সচিব জানিয়ে দিয়েছেন, আধার কার্ডের বিষয়টি কেন্দ্রের অধীনে।
রেশন বণ্টন ব্যবস্থা নিয়েও এ দিন অভিযোগ করেন উপস্থিত কয়েক জন কাউন্সিলর। তাঁদের দাবি, রেশন ডিলার বদল করা হোক। তা শুনে ডিরেক্টর অব রেশনিং জানান, কাউন্সিলরদের ডিলারের নাম দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা আসেনি। ফের তা দিতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও এ দিন বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলর। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিকানায় গিয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে কর্মীদের। সেই কার্ড ব্যবহার হচ্ছে না। নতুন অনেকেই ওই কার্ড পেতে পারেন। যে সমস্ত কার্ডের মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না, সেই কার্ডগুলির পরিবর্তে নতুন আবেদনকারীদের কার্ড দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের মত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy