Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সিন্ডিকেট-যুদ্ধ গড়িয়াহাটেও, জখম তিন জন

এ বার কলকাতার বুকে সিন্ডিকেট দখল নিয়ে গোলমাল, মারপিট। এ বারও অভিযোগের তির শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর দিকে। ঘটনার জেরে একটি গোষ্ঠী গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, গড়িয়াহাট এলাকায় কোনও সিন্ডিকেট নেই। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের একটি অভিযোগ জমা পড়েছে।

জিতেন্দ্র শর্মা ও রামজি সাহু।

জিতেন্দ্র শর্মা ও রামজি সাহু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৫ ০০:০৮
Share: Save:

এ বার কলকাতার বুকে সিন্ডিকেট দখল নিয়ে গোলমাল, মারপিট। এ বারও অভিযোগের তির শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর দিকে। ঘটনার জেরে একটি গোষ্ঠী গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, গড়িয়াহাট এলাকায় কোনও সিন্ডিকেট নেই। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের একটি অভিযোগ জমা পড়েছে।

এ দিকে, গত ২১ জুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে বন্ডেল রোডের বাসিন্দা জিতেন্দ্র শর্মা অভিযোগে জানিয়েছেন, রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ তাঁর এক সঙ্গী আদিত্য সাউ দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। দরজা খোলামাত্র তিনি দেখেন, পাশের কড়েয়া এলাকার রামদাস সাউ-সহ ১০-১২ জনের একটি দল হাতে ধারালো ছুরি, তরোয়াল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। জিতেন্দ্রর অভিযোগ, ওই দলের সঙ্গে আদিত্য থাকলেও তাকে ততক্ষণে মেরে ধরে কাবু করে ফেলেছিল রামদাসের দল। এলাকাবাসীদের দাবি, জিতেন্দ্র এবং রামদাস এবং তাঁদের দলের সদস্যেরা সকলেই তৃণমূলের সমর্থক।

জিতেন্দ্রের অভিযোগ, ওই রাতে রামদাসের দলটি তাঁর উপরেও চড়াও হয়। তাঁকে বাঁচাতে এলে মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রী কিরণদেবী এবং পড়শি রামজি সাউকেও। অভিযোগ, ছুরির আঘাতে জিতেন্দ্র এবং রামজির মাথায় চোট লাগে। জিতেন্দ্রর বাঁ হাতের একটি আঙুলও ভেঙে যায়। ঘটনার পরেই জিতেন্দ্রর আর এক সঙ্গী বিনোদ ঠাকুর ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং রাতেই গড়িয়াহাট থানায় রামদাস এবং তার সঙ্গী সূরজ সাউ, অজয় সিংহ, দীপক সাউ, ডাব্বু-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে জিতেন্দ্র এবং বিনোদ জানান, গত তিন-চার বছর ধরে তাঁদের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে কোনও নির্মাণ হলে তাঁরাই বালি, ইট, স্টোনচিপ্‌স সরবরাহ করে থাকেন। মাস চারেক আগে ৬০বি বন্ডেল রোডের খালি জায়গাতেও দু’টি নির্মাণ শুরু হয়েছে। সেখানেও তাঁরাই নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করছেন। কড়েয়ার সিন্ডিকেট চালান রামদাস। জিতেন্দ্রদের অভিযোগ, রামদাস নিজে ওই জায়গায় ঢুকতে চেয়ে গত কয়েক মাসে প্রায়ই গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করছে। রামদাসের দলবল প্রায়ই হুমকি দেয়। দখলদারি ঘিরেই গত ২১ জুন রাতে আদিত্যকে রাস্তায় একা পেয়ে রামদাস এবং তার দলবল তাকে ধরে মারতে মারতে জিতেন্দ্রর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সদলবলে চড়াও হয়।

বন্ডেল রোডের সিন্ডিকেট দখল করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই রামদাস সেখানে উড়ালপুলের নীচে একটি ফাঁকা জায়গার দখলও নিয়েছে বলে অভিযোগ জিতেন্দ্র ও বিনোদের। তাঁদের দাবি, অন্য ওয়ার্ডে হঠাৎ ঢুকলে স্থানীয় লোকেরা যাতে বাধা দিতে না পারেন, তাই একটু একটু করে পাশের ওয়ার্ড থেকে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে এসে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন রামদাস।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE