সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র — ফাইল ছবি।
জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে জামিনের আর্জি করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘কাকু’র আইনজীবী। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ আচমকা রক্তচাপ মারাত্মক কমে যাওয়া এবং নাড়ির গতি বেড়ে যাওয়ায় সুজয়কৃষ্ণকে তড়িঘড়ি এসএসকেএমেরই কার্ডিয়োলজি বিভাগের এক নম্বর কেবিন থেকে ‘ইনটেনসিভ কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট’ (আইসিসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে ‘কাকু’র অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফি করা হয়। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, তাঁর রক্তবাহী ধমনীতে ক্যালসিয়াম জমে রয়েছে। ফলে বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জায়গায় রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা ওই সমস্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। গত ৭ ডিসেম্বর যে সমস্যা দেখা গিয়েছিল, তার সঙ্গে হৃদ্যন্ত্রে যে সমস্যা মিলেছে, তার সামঞ্জস্য মিলিয়ে দেখতে চাইছেন চিকিৎসকেরা। তবে এখনই অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টির প্রয়োজন রয়েছে বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন না বলেই খবর। তার পরেই ‘কাকু’-কে কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্য দিকে, ‘কাকু’র চিকিৎসা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক রিপোর্টে নানা ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি ইডির। ‘কাকু’র শারীরিক সেই সব রিপোর্ট দ্বিতীয় বার পর্যবেক্ষণ করার জন্য এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মঙ্গলবার বলা হয়েছে বলে ইডির দাবি। হাসপাতাল সূত্রের দাবি, সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং চিকিৎসকদের মতামত সবই ইডিকে জানানো হবে। এই প্রেক্ষিতেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে আদালতে জামিনের আর্জি জানালেন সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী। আগামী শুক্রবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy