কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
ইউজিসি-র নিয়ম মেনে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। সেই যুক্তিতে সেখানকার উপাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নির্দেশনামা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরেও পাঠানো হয়। রাজভবনের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অপসারিত উপাচার্য সুহৃতা পাল। সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
ইউজিসি-র নিয়ম মেনে নিয়োগ না হওয়ার যুক্তিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ হারিয়েছেন। কিন্তু সুহৃতা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকে নিয়োগের সময়ে যে সার্চ কমিটি ছিল, তাতে ইউজিসি-র কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। তাই সুহৃতার নিয়োগও বৈধ নয় বলে মনে করে রাজভবন। গত ২৬ জুলাই রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি পাঠানো হয়। তাতে তিন দিনের মধ্যে উত্তর তলব করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, কেন সুহৃতা ওই পদে রয়েছেন? সূত্রের খবর, রাজভবনে জমা হওয়া উত্তরে সন্তুষ্ট হননি রাজ্যপাল তথা আচার্য। এর পরেই সুহৃতাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজভবন। সেই মতো ইমেলে পৌঁছয় নির্দেশনামা।
অন্তর্বর্তিকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়, তার জন্য রাজ্য সরকারের থেকে তিন জন অধ্যাপকের নাম চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের তরফে আর জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করবী বড়াল ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের নাম পাঠানো হয়েছে। যদিও ওই পদে এনআরএসের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তীকে রাজভবনের পছন্দ বলে খবর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ইউজিসি-র নিয়মানুযায়ী উপাচার্য হতে ন্যূনতম ১০ বছরের অধ্যাপনার যোগ্যতা প্রয়োজন। সুহৃতার তেমনটা আছে কি না, সেটাও স্পষ্ট নয় রাজভবনের কাছে। সম্প্রতি চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চের তরফে রাজ্যপালের কাছে সুহৃতা সম্পর্কে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করা হয়।
‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’-এর মানস গুমটা বলেন, ‘‘আমাদের ধারণাই ছিল, এই পরিণতি হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ওঁর বিরুদ্ধে উপাচার্যের চেয়ার ব্যবহার করে পরিজনদের আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও যেমন আছে, তেমনই পরীক্ষায় টোকাটুকিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’’ মানস জানান, সব জেনেও স্বাস্থ্য প্রশাসন চুপ থাকায় জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্সের তরফে রাজ্যপালকে চিঠি দেওয়া হয়।
এ দিন সুহৃতা হাই কোর্টের ২৩৭ নম্বর ঘরে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, বিশেষ সচিব (স্বাস্থ্য-শিক্ষা), বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও রাজভবনের ওএসডি-কে পক্ষ করে মামলা দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy