ব্রাত্য বসু ফাইল চিত্র
অবিলম্বে ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে সোমবার থেকে ক্যাম্পাসেই অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এ দিনই পড়ুয়া এবং গবেষকদের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করে ক্যাম্পাস খোলার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)-ও।
এ দিন যাদবপুরে ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে উপাচার্যের দফতরে অবস্থান–বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ ‘ফেটসু’। রাত পর্যন্ত সেই অবস্থান চলছে। ক্যাম্পাস সূত্রের খবর, এই অতিমারির সময়ে আটকে পড়েছেন উপাচার্য-সহ বেশ কয়েক জন শিক্ষক। রয়েছেন ষাটোর্ধ্বও। ফেটসু-র দাবি, পড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করে অবিলম্বে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হোক। যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়টি সরকারকে জানানো হয়েছে। তবে ক্যাম্পাস খোলার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় একক ভাবে নিতে পারে না। এটি রাজ্য সরকারের বিষয়।
এসএফআইয়ের নেতৃত্বাধীন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকেও এ দিন ক্যাম্পাস খোলার দাবি জানানো হয়। ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু হলে কর্তৃপক্ষ দেড় বছর পরে ক্যাম্পাসের দরজা খুলে দেন। এর পরে ছাত্রছাত্রীরা পোর্টিকোতেই অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান শুরু করেছেন। তবে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বুধ ও শুক্রবার ক্যাম্পাসে এসে পড়ুয়ারা গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারবেন।
এ দিন ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস অনলাইনে প্রায় অসম্ভব। তাই গত ১৮ মাস ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসও বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় পর্যায়ক্রমে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হোক। তাঁদের দাবি, প্রতিষেধক নেওয়ার পরে চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করতে দেওয়া হোক। এর পরে ধাপে ধাপে অন্য বর্ষের পড়ুয়াদেরও ক্যাম্পাসে আসার অনুমতি দেওয়া হোক। ওই চিঠিতে পার্থপ্রতিমবাবু আরও জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকশো কোটি টাকার যন্ত্রপাতি গত দেড় বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পরে রয়েছে। এত দিনের অব্যবহারে সেগুলি বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা সারাতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হবে। গবেষণার ল্যাবরেটরিগুলি দ্রুত চালু করলে শিক্ষা সংক্রান্ত এই আর্থিক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। যে গবেষকরা ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক নিয়েছেন, তাঁদের ক্যাম্পাসে আসার অনুমতি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। এ ছাড়া পড়ুয়া, গবেষক-সহ সকলকেই প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy