প্রতীকী ছবি ছবি: পিটিআই
মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ভর্তি হতে না পারায় সোমবার যোগমায়া দেবী কলেজে বিক্ষোভ দেখালেন একদল পড়ুয়া। তাঁদের অভিযোগ, মেধা তালিকায় নাম ওঠার পরে অনলাইনে টাকা জমা দিতে হবে বলে কলেজ থেকে তাঁদের এসএমএস পাঠানো হয়েছে। অথচ, তাঁরা টাকা জমা দিতে গেলে কলেজের তরফে জানানো হচ্ছে, ভর্তির জন্য কোনও আসন ফাঁকা নেই। এই বিভ্রান্তি ঘিরে এ দিন উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ কলকাতার ওই কলেজে। বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ ও তাঁদের অভিভাবকেরা। ঘটনার জেরে ভবানীপুর থানার পুলিশও আসে।
যোগমায়া দেবী কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পূর্বা ঘোষ এ দিন জানান, দ্বিতীয় দফার মেধা তালিকা প্রকাশের পরে জানানো হয়েছিল, শনিবার বিকেল চারটে পর্যন্ত ভর্তি নেওয়া হবে। কিন্তু অনলাইনে টাকা জমা দিতে গেলে জানানো হয়, সব আসন পূরণ হয়ে গিয়েছে।
অধ্যক্ষা শ্রাবণী সরকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতি বছর তাঁরা যত পড়ুয়াকে ভর্তির জন্য ডাকেন, তার তুলনায় কম ছাত্রী ভর্তি হন। কিন্তু এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার বেশি হওয়ার জন্য মেধা তালিকায় নাম থাকা সকলেই ভর্তি হতে চাইছেন। যার জন্য অল্প ক্ষণের মধ্যেই সব আসন পূরণ হয়ে গিয়েছে। সে কথা সময়ে পড়ুয়াদের জানানো সত্ত্বেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পড়ুয়াদের অবশ্য অভিযোগ, বিভাগীয় প্রধান ও কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্যদের না জানিয়ে আগে এলে আগে ভর্তি— এই পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়েছেন অধ্যক্ষা। শ্রাবণীদেবী অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানান, কিছু বিষয়ে ভর্তির চাহিদা যথেষ্ট। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আসন বাড়ানোর আর্জি জানানো হবে। সম্মতি মিললে পড়ুয়াদের দাবি বিবেচনা করা যেতে পারে।
অন্য দিকে, চূড়ান্ত সিমেস্টারে পাশ করা যে পড়ুয়ারা দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সিমেস্টারের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁদের সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ-সহ একাধিক দাবি নিয়ে এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখায় ‘ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিটি’। সংগঠনের আহ্বায়ক অনীক দে জানান, তাঁরা এ নিয়ে উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জানিয়েছেন, চূড়ান্ত সিমেস্টারের পড়ুয়াদের স্নাতকোত্তরে আবেদনের সময় শেষ হওয়ার আগেই তাঁরা এই সমস্যার সমাধান করবেন। উপাচার্য বলেন, ‘‘দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সিমেস্টারের ফল দ্রুত প্রকাশ করা তখনই সম্ভব, যখন কলেজগুলি দ্রুত পরীক্ষার নম্বর জমা দেবে।’’ অনীক অবশ্য বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সিমেস্টারের ফল প্রকাশের নোটিস না দেওয়া হলে ওই দিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy