Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জমা জল, জঞ্জালই পাখির চোখ পুরসভার

পুরসভার এক পতঙ্গবিদের কথায়, যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে জল জমার সম্ভাবনা রয়েই যাচ্ছে। একটা ছোট পাত্রে জমা জলও বিপজ্জনক।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৯
Share: Save:

নির্মীয়মাণ বাড়ি, সেতু অথবা অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত বাড়ি— শহরের আনাচকানাচে এমনই বিভিন্ন জায়গায় জল বা জঞ্জাল জমার সমস্যাকেই ডেঙ্গি দমনে এ বার পাখির চোখ করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। সেই তালিকায় রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক
সংস্থাও। এ শহরে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার দফতরে কোথায় কোথায় জল বা জঞ্জাল জমে থাকে, তার একটি তালিকা তৈরি করে ১৫ দিন আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে তা পাঠিয়ে দিয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। আজ, বৃহস্পতিবার ফের পুরভবনে মশাবাহিত রোগ দমনের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। সেখানে ডাকা হয়েছে ওই সব সংস্থাকেও। মশা দমনে কে কতটা কাজ করেছে, আগামী দিনে কী ভাবে কাজ করতে হবে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হবে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘বারবার বলা হচ্ছে, জমা জলেই ডেঙ্গিবাহী মশার বংশবৃদ্ধি হয়। তাই মশা নির্বংশ করতেই হবে। সেই কাজে আরও জোর দিতে জল জমা রুখতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের সংস্থাগুলিকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। জল জমলেই কেরোসিন, ডিজেল জাতীয় তেল দিয়ে মশার বংশ নাশ করার কথা বলা হচ্ছে।’’

শহরে ডেঙ্গির অতীত অভিজ্ঞতা নিয়ে এমনিতেই আতঙ্ক রয়েছে বাসিন্দাদের। তার উপরে বর্তমানে জ্বরের প্রকোপ বাড়ায় সেই ভয় আরও দানা বাঁধছে। তা নিয়ে কি কিছু ভাবছে পুর প্রশাসন? অতীনবাবু বলেন, ‘‘বৃষ্টি এবং খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্যই সর্দি, জ্বর হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও অনেক রোগী আসছেন। তবে তা নেহাতই ঠান্ডা লেগে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।’’ তিনি জানান, এখনও শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০ ছাড়ায়নি। বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।

যদিও তাতে আত্মতুষ্টির যে কোনও জায়গা নেই, তা স্বাস্থ্য দফতরের অফিসারদের জানিয়েছেন তিনি। পুরসভার এক পতঙ্গবিদের কথায়, ‘‘যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে জল জমার সম্ভাবনা রয়েই যাচ্ছে। একটা ছোট পাত্রে জমা জলও বিপজ্জনক। তাই এত বড় শহরে কোন গলি-ঘুপচিতে, চায়ের ভাঁড়ে, ফুলের টবে এবং সর্বোপরি নির্মাণস্থলে জল জমে রয়েছে, তার খোঁজ রাখার কাজটাও কঠিন।’’ বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সে সব ব্যাপারেই সকলকে সতর্ক করা হবে।

অতীনবাবু জানান, বাসিন্দাদের কাছে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে, জল জমিয়ে রাখবেন না। নির্মাণ সংস্থাগুলিকেও তা বলা হয়েছে। এর পরেও সতর্ক না হলে পুর আইনের ৪৯৬এ ধারা প্রয়োগ করার কথাও বলা হয়েছে। যাতে নোটিস দেওয়ার পরেও জমা জল, জঞ্জাল না সরালে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।

অন্য বিষয়গুলি:

KMC Mosquito Stagnant Water
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE