প্রতীকী ছবি।
খোলা জায়গায় জৈব জ্বালানি পোড়ানো আটকানোর ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। দিল্লির ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র (আইআইটি) একটি সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সেই সমীক্ষা-রিপোর্ট আগামী কাল, ৫ জুন রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্রকাশ করবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
তবে এই প্রসঙ্গে কলকাতার মতো শহরে স্তূপীকৃত আবর্জনা খোলা পরিবেশে পুড়িয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছে। আইআইটি-র তরফে জানানো হয়েছে, বৃহত্তর আঙ্গিকে জৈব জ্বালানি খোলা জায়গায় পোড়ানো হলে সেই সংক্রান্ত তথ্য উপগ্রহের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। যা দেখে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও করা হয়। কিন্তু কলকাতার অলিগলিতে আবর্জনা পোড়ানো হলে সেই ঘটনা এতই অল্প সময়ের জন্য হয় যে, ওই তথ্য উপগ্রহের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। ফলে এই প্রবণতা বন্ধ করতে নজরদারি চালানো কঠিনহয়ে পড়ে।
আইআইটি দিল্লির ‘সেন্টার ফর অ্যাটমস্ফেরিক সায়েন্সেস’-এর অধ্যাপক সাগ্নিক দে বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে হবে। খোলা জায়গায় এ রকম আবর্জনা পোড়াতে দেখলে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে খবর দিতে হবে। সব ক্ষেত্রে নজরদারি চালানো সম্ভব হয় না।’’ তিনি আরও জানান, খোলা জায়গায় জৈব জ্বালানি পোড়ানোর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের কৃষক, আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছে প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। সাগ্নিকবাবুর কথায়, ‘‘অনেকে জানতেনই না যে, এ ভাবে খোলা জায়গায় বর্জ্য পোড়ানো পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর। এ বিষয়ে খানিকটা সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।’’
শুক্রবারই পরিবেশকর্মীদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’-এর তরফে খোলা জায়গায় আবর্জনা পোড়ানো যাবে না-সহ একগুচ্ছ দাবি তোলা হয়। সংগঠনের তরফে জীবাশ্ম জ্বালানির (কয়লা, খনিজ তেল) কম ব্যবহার, এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, থার্মোকলের উপরে নিষেধাজ্ঞা, শব্দদূষণ আইনের প্রয়োগ, জল ও আর্সেনিকের দূষণ রোধের দাবিতোলা হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy