প্রতীকী চিত্র।
গত মাসেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে পুলিশকে ২২৫টি শব্দ পরিমাপক যন্ত্র (ডেসিবেল মিটার) দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য পুলিশকে এ রকম মোট দু’হাজার যন্ত্র দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেছে পর্ষদ। কিন্তু তার পরেও শব্দদূষণের অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে বলেই জানিয়েছে পরিবেশকর্মীদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’।
ওই সংগঠনের তরফে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে দেখানো হয়েছে, কী ভাবে গত চার বছরে শব্দদূষণ সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। সংগঠনের এ-ও অভিযোগ, শব্দ পরিমাপক যন্ত্র দেওয়ার ফলে পুলিশ এখন স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়েই মামলা করতে পারে। কিন্তু তার পরেও তা করা হচ্ছে না কেন?
ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, পুজোর মরসুমে ২০১৬ সালে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে সংগঠনের কাছে শব্দদূষণের ৪১টি অভিযোগ এসেছিল। ২০১৭ সালে ওই সংখ্যা বেড়ে হয় ৪৯। ২০১৮ সালে তা এক লাফে উঠে যায় ৯৩-এ। গত বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে ওই অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১২৬। সংগঠনের পক্ষে নব দত্ত বলেন, ‘‘এখন আর শুধু পুজোর মরসুমে নয়, সারা বছর ধরেই বিভিন্ন সময়ে ডিজে ও শব্দবাজির উৎপাত লেগে থাকে। পুলিশকে যেখানে দামি শব্দ পরিমাপক যন্ত্র দেওয়া হচ্ছে, সেখানে কেন পুলিশ নিজে থেকে মামলা করছে না? কেউ জোরে হর্ন বাজিয়ে গেলে সে সম্পর্কে অভিযোগ করলে তবেই সংশ্লিষ্ট ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী পদক্ষেপ করবেন, নয়তো করবেন না। তা হলে ওই যন্ত্র দেওয়ার অর্থ কী?’’
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অবশ্য জানাচ্ছে, কোনও সভা-সমিতিতে মাইকের ব্যবহার নিয়ে শব্দদূষণের অভিযোগ পর্ষদের পাশাপাশি পুলিশও দায়ের করে থাকে। ইতিমধ্যেই ৮০০টি শব্দ পরিমাপক যন্ত্র দেওয়া হয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু একটি থানায় ওই যন্ত্রের সংখ্যা তো একটিই। ফলে রাস্তায় কেউ জোরে হর্ন বাজিয়ে চলে গেলেও সে সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করাটা সম্ভব হয় না। কিন্তু কোনও অনুষ্ঠানে মাইক, ডিজে বা শব্দবাজির ব্যবহার হলে সে ক্ষেত্রে ওই শব্দ পরিমাপক যন্ত্রের ব্যবহার অবশ্যই করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য-সচিব, আইপিএস রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘পর্ষদ ও পুলিশ মিলে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। সেই মতো ধারাবাহিক পদক্ষেপও করা হচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সচেতনতাও দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy