উত্তর কলকাতার বেশ কিছু স্কুল পরীক্ষা নেবে না। ফাইল ছবি
কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো ‘আবহমান ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি জানানোয় কাল, বৃহস্পতিবার শহরে বিশেষ শোভাযাত্রা হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় হাজার দশেক পড়ুয়াকে। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে ওই শোভাযাত্রা যাবে রেড রোড পর্যন্ত। এই মিছিলের কারণে আগামী কাল শহরে যানজটের আশঙ্কা থাকছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর কলকাতার বেশ কিছু স্কুল জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সামগ্রিক মূল্যায়নের যে সূচি ঠিক করেছিল, ওই দিন সেই পরীক্ষা নেবে না। তবে দক্ষিণ কলকাতার কিছু স্কুলের বক্তব্য, শোভাযাত্রা যে হেতু জোড়াসাঁকো থেকে রেড রোড পর্যন্ত যাবে, তাই দক্ষিণ কলকাতায় যানজট কম হবে বলে তারা আশাবাদী। সেই কারণে তাদের পরীক্ষা সূচিতে বদল ঘটছে না।
বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে বৃহস্পতিবার পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা হবে না। তবে ছাত্রীদের ছুটি দেওয়া হয়নি। আমাদের স্কুল থেকে প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া শোভাযাত্রায় অংশ নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে যাবেন কয়েক জন শিক্ষিকাও।’’ সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের স্কুলের ৫০ জন ছাত্র শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে। তবে বৃহস্পতিবার স্কুলে কোনও পরীক্ষা না থাকায় পরীক্ষা বন্ধ হচ্ছে না।’’
তবে ওই দিন দ্বিতীয় সামগ্রিক মূল্যায়ন নেবে না বলে জানিয়েছে শ্যামবাজার এলাকার পার্ক ইনস্টিটিউশন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘আমাদের ৫০ জনের মতো ছাত্র পদযাত্রায় যাবে। তাই বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে। পরিবর্তিত দিন শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া নাগ জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুল থেকে কোনও ছাত্রীর শোভাযাত্রায় যাওয়ার নির্দেশ এখনও পর্যন্ত আসেনি। তবে বৃহস্পতিবার তাঁরা পরীক্ষা নিচ্ছেন না।
দক্ষিণ কলকাতার কিছু স্কুলের কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা বৃহস্পতিবারের পরীক্ষার সূচি পাল্টাচ্ছেন না। যেমন, মিত্র ইনস্টিটিউশনের ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে অথবা যোধপুর পার্ক বয়েজ় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানান, তাঁদের স্কুল যে এলাকায়, সেখানে যানজট হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই বৃহস্পতিবার পরীক্ষা হবে। তবে স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের মতে, পয়লা সেপ্টেম্বর কতক্ষণ পঠনপাঠন হবে, পরীক্ষা হলে তার আলাদা সময়সূচি হবে কি না— এই বিষয়গুলি নিয়ে শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ওই দিন স্কুল পরিচালনা করতে খানিকটাসুবিধা হত।
তবে মুখ্যমন্ত্রী একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ওই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করার কথা বললেও বেশির ভাগ স্কুলের শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, শুধু একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাই মিছিলে আসতে ইচ্ছুক। কারণ, দ্বাদশের পড়ুয়াদের সামনে উচ্চ মাধ্যমিক। করোনার কারণে এ বার দেরি করে পঠনপাঠন শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার স্কুলের ক্লাস বাদ দিতে চাইছে না তাদের অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy