—প্রতীকী চিত্র।
চাকরির জন্য দরকার আধার কার্ড, প্যান কার্ড। সে সব নথি-সহ নেওয়া হত আঙুলের ছাপও। এর পরে ওই তথ্য ব্যবহার করে ঢোকা হত নির্দিষ্ট আধার প্রোফাইলে। সেখান থেকে আরও তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তৈরি করা হত ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। শুধু তা-ই নয়, ওই আধার প্রোফাইলে থাকা তথ্যপঞ্জি দিয়ে তুলে নেওয়া হত ভুয়ো সিম কার্ডও। ভুয়ো সিম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চলত প্রতারণা-চক্র। সম্প্রতি ওয়াটগঞ্জ থানা এমনই এক চক্রের ছ’জনকে গ্রেফতার করার পরে ওই তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, চাকরি দেওয়ার নাম করে সব ধরনের পরিচয়পত্র হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতত চক্রটি। কলকাতা-সহ একাধিক ভিন্ রাজ্যে তাদের জাল ছড়িয়ে ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আমির সোহেল ওরফে ইমরান, সামসের আখতার, মহম্মদ শাহবাজ, ইসতাক আহমেদ, শাহবাজ আলম এবং মহম্মদ আয়ুব। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৩০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৫০-টিরও বেশি মোবাইল সিম এবং প্রচুর পরিমাণ ভুয়ো আধার কার্ড। ধৃতেরা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। পুলিশের দাবি, আমির ওই চক্রের পাণ্ডা। ওয়াটগঞ্জে বসেই সে ওই চক্রটি চালাচ্ছিল। আরও কয়েক জনের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, এক মহিলা বিজ্ঞাপন দেখে ওয়াটগঞ্জে একটি অফিসে চাকরির জন্য আবেদন করেন। তাঁকে আধার, ভোটার এবং প্যান কার্ড জমা দিতে বলা হয়। অভিযোগ, ওই সব নথি জমা দেওয়ার পরে অভিযুক্তেরা মহিলার আঙুলের ছাপ নিয়ে আধার প্রোফাইলে লগ ইন করে। তা দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। তিনি গত সপ্তাহে ওয়াটগঞ্জ থানায় সব জানালে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তাতেই ওই চক্রের সন্ধান মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের আর একটি অংশ কল সেন্টার খুলে ব্যবসায় খুব সহজে বিনিয়োগ করিয়ে দেওয়া হবে বলে ফাঁদে ফেলত অনেককে। তাঁদের কাছ থেকে মোটা টাকা অনলাইনে নিয়ে জমা করত ওই সব ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy