লালবাজারের অনতিদূরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
রাত পেরিয়ে সকাল। লালবাজারের অদূরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে এখনও অবস্থানে বসে বেশ কয়েক জন আন্দোলনকারী। তাঁদের দাবি, পুজো মণ্ডপে ‘বিচার চাই’ স্লোগান দিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ন’জনকে অবিলম্বে ছাড়তে হবে। আটক ন’জনকে ছাড়া না-হলে অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারীরা।
অন্য দিকে, বুধবার রাতের মতোই বৃহস্পতিবার সকালে কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট। গার্ডরেলে মোড়া রয়েছে গোটা এলাকা। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনীও। আন্দোলনকারীদের সংখ্যা সকালের দিকে কিছুটা কমেছে। তবে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের তরফে এক জন বলেন, “রাজ্য প্রশাসন আন্দোলনে ভয় পেয়েছে। তাই মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবাদীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। আটক হওয়া ন’জনকে যত ক্ষণ না ছাড়া হচ্ছে, আমরা এখানেই বসে থাকব।’’
আন্দোলনকারীদের দাবি, আটক হওয়া ন’জনকে পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বুধবার ‘অভয়া পরিক্রমা’ কর্মসূচি ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। কর্মসূচি হল— মিনিডোরে করে আরজি কর এবং জয়নগরের নির্যাতিতার ‘প্রতীকী মূর্তি’ নিয়ে পুজোমণ্ডপে ঘুরবেন তাঁরা। সেই কর্মসূচি পালন করতেই ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। ঘটনাচক্রে, ওই পুজো তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমারের বলেই পরিচিত। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। সেই অভিযোগেই তাঁদের আটক করে লালবাজারের পথে রওনা দেয় পুলিশ।
খবর পেয়ে ধর্মতলা থেকে লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একটি দল। যোগ দেন বেশ কয়েক জন সাধারণ মানুষও। তাঁদের আটকাতে ঘিরে ফেলা হয় লালবাজার। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে বসানো হয় ব্যারিকেড। আন্দোলনকারীরা যাতে কোনও মতেই লালবাজারের আশপাশে না আসতে পারেন, সে জন্য রাস্তায় খালি বাস দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানে বসেই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy