অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দফতরে তালা ঝোলানো। হস্টেলের তালা ভাঙা। এমন সব ঘটনা পেরিয়ে শুক্রবার অন্তর্বর্তী উপাচার্যের মুখোমুখি হলেন রাতে স্বাধীনতা চাওয়া আবাসিক পড়ুয়ারা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার আন্দোলনকারী ছাত্রেরা অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তর দফতরের তালা খুলে দেন। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কাছে তাঁদের দাবি, প্রথম বর্ষের ছাত্রেরা যে দুই হস্টেলে থাকেন, সেই নিউ ব্লক এবং ওল্ড পিজি হস্টেলের মূল দরজা রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখতেই হবে। পাশাপাশি থাকা এই দুই হস্টেলের মধ্যে দিনরাত যাতায়াতের সুযোগ দিতে হবে। এর সঙ্গে ছাদের দরজাও খুলে রাখতে হবে। ডিন অব স্টুডেন্টস রজত রায় এ দিন বলেন, ‘‘বিষয়টি আগামী সোমবার স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা হবে।’’
এখন এই দুই হস্টেলের মূল দরজা রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার ১০টায় মূল দরজা বন্ধ করে দেওয়ার পরে আন্দোলনকারী ছাত্রেরা তালা ভেঙে বেরিয়ে আসেন। হস্টেল সুপারের ঘরে তালা দিয়ে দেন তাঁরা। এমনকি, সিসি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তবে এসএফআইয়ের পক্ষে দাবি, প্রথম বর্ষের হস্টেলে রাত ১০টার বদলে ১১টা পর্যন্ত প্রবেশদ্বার খোলা রাখা হোক। ১১টার পরে প্রয়োজন অনুযায়ী ছাত্রদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা অভিনব বসু শুক্রবার জানান, গত বছর প্রথম বর্ষের ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনার কথা মাথায় রেখে, ১১টার পরে প্রয়োজনে হস্টেল থেকে বেরোনোর ক্ষেত্রে হস্টেল সুপারের সঙ্গে যথাযথ কথোপকথনের মাধ্যমে এবং আইডি কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সচেতন থাকতে হবে, যাতে প্রথম বর্ষের হস্টেলে কোনও সিনিয়র অথবা হস্টেলের বোর্ডার নন, এমন কেউ প্রবেশ না করেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)