এক এজেন্টের কাছে কয়েক মাস আগে চিকিৎসার পরিষেবা পেতে কয়েক হাজার টাকা দিয়েছিলেন এক তরুণী। তাতেও পরিষেবা না পাওয়ায় টাকা ফেরত চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাকা না পেয়ে এজেন্টকে সাত ঘণ্টারও বেশি আটকে রাখার অভিযোগ উঠল ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক সার্কাস এলাকায়। তবে অভিযোগকারিণীর বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানায়, সিঁথি থানা এলাকার দমদম রোডের বাসিন্দা ওই মহিলা তপসিয়ার একটি মেডিক্যাল ক্লিনিকে এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ওই ক্লিনিকে ডিম্বাণু কেনা-বেচা হয়। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় ঘুঁটিয়ারি শরিফের বাসিন্দা মিনু নামের এক তরুণীর। ওই এজেন্ট পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে মিনু তাঁকে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করতে থাকেন মিনু। সেই বিষয়ে কথা বলতেই গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে পার্ক সার্কাসের কাছে ৪ নম্বর ব্রিজের কাছে দু’জনে দেখা করতে আসেন। অভিযোগ, তখন মিনু নিজেদের গাড়িতে তুলে নেন দমদমের বাসিন্দা ওই এজেন্টকে। সেই গাড়ি নিয়ে গোটা কলকাতায় ঘুরতে থাকেন তাঁরা। ওই এজেন্ট পুলিশকে জানিয়েছেন, টাকা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়। মিনুর সঙ্গে তাঁর স্বামী-সহ আরও বেশ কয়েক জন যুবক ছিলেন।
এর পরে দমদমের ওই মহিলা ফোন করেন তাঁর স্বামীকে। সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ময়দান মেট্রো স্টেশনের সামনে মহিলার স্বামী চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে পৌঁছে টাকা দিলে ছাড়া হয় তাঁকে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, তপসিয়ার ওই ক্লিনিক থেকে ডিম্বাণু কেনা-বেচা হয়। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই এজেন্টের মাধ্যমে মিনু তাঁর নিজের ডিম্বাণু বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু সেই বাবাদ টাকা পাননি মিনু। পুরনো তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে এ রকম আরও একটি অভিযোগ উঠেছিল। ফলে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়া ওই গাড়ির নম্বর যেমন বলতে পারেননি, তেমনই রাস্তায় থাকা পুলিশ কর্মীদের অভিযোগকারিণী কেন বিষয়টি জানালেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে তদন্তকারীদের মনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy