ফাইল ছবি।
মোটরবাইক রেস থামিয়ে দিয়ে কয়েক জন যুবককে আটক করেছিলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। বাকিরা প্রথমে পালিয়ে গেলেও পরে ফিরে আসে এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে জোর করে একটি অ্যাপ-ক্যাবে তুলে পালিয়ে যায়। পরে নোনাডাঙা থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় সেই যুবককে উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ক্যাবে তুলে সেই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর ভাবে জখম হন তিনি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে খোদ পুলিশেরই নিরাপত্তা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম দীপঙ্কর মণ্ডল ওরফে ভুলো, আকাশদীপ সাগা, বিপ্লব বিশ্বাস ওরফে ভবাই, সাগর মেটে, বিপ্লব সরকার ওরফে ডাঙ্গো, ঝরো মণ্ডল ওরফে পল্টন এবং রাজ দাস।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৮ অগস্ট রাত ১২টা ৫০ নাগাদ পুলিশ জানতে পারে, ২০-২৫ জন যুবক-যুবতীর একটি দল ১৫টি মোটরবাইকে চেপে রেস করছে। নিউ টাউনের পেঁচার মোড় এলাকায় তাদের আটকায় পুলিশ। দু’টি মোটরবাইক ও কয়েক জন যুবককে আটকানো গেলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাকরির টোপে এনে সোজা ডান্স বারে, হাওড়ায় উদ্ধার ৫৫ তরুণী
মোটরবাইক-সহ আটক যুবকদের নিয়ে থানায় যাচ্ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। এর মধ্যে বাকিদের থেকে কোনও ভাবে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন মনোজ্জ্বল মণ্ডল ওরফে বাপি নামের এক সিভিক ভলান্টিয়ার। নিউ টাউনের একটি হোটেলের কাছে আসতেই আচমকা তাঁকে ঘিরে ধরে পালিয়ে যাওয়া যুবকদের একাংশ। এ বার তাদের সঙ্গে ছিল একটি অ্যাপ-ক্যাব। সিভিক ভলান্টিয়ারকে জোর করে সেই গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এর পরে তীব্র গতিতে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দিকে চলে যায় সেই গাড়ি। খবর পেয়ে নিউ টাউন থানার পুলিশ আনন্দপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পরে এক দিকে নিউ টাউন থানা, অন্য দিকে আনন্দপুর থানার পুলিশ গাড়ির খোঁজে বেরোয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy