প্রতীকী ছবি।
পকসো মামলার তদন্তে থানার ওসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে কার্যত গুরুত্বহীন কোনও জায়গায় বদলি করতে বললেন বিচারক। মঙ্গলবার শিয়ালদহ বিশেষ পকসো আদালতে একটি মামলার সাজা ঘোষণার সময়ে এমনই মন্তব্য করেন বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস।
অভিযোগের তির নারকেলডাঙা থানার ওসি শুভজিৎ সেনের দিকে। বিচারক বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মামলা শুরু করেননি ওসি। নির্যাতিতা বালিকার বাবার আসল অভিযোগটিও তিনি গোপন করেছেন। আমি রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরকে বলব, ওসি-র বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে। এমন ওসি যিনি এলাকার দুর্বল শ্রেণির মানুষের প্রতি মমতাহীন, তাঁকে গুরুত্বহীন কোনও জায়গায় বদলি করাই উচিত।’’ সংশ্লিষ্ট মামলাটির বিচার অবশ্য সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সাত বছরের বালিকাকে যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত ১৭ বছরের মহম্মদ মুস্তাকিনের পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্যাতিতাকে প্রশাসনের তরফে চার লক্ষ টাকার সহায়তা দিতে বলেছে আদালত।
বিচারকের মন্তব্য প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওসি কিছু বলতে চাননি। তবে লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘নির্যাতিতার বাবা যখন এসেছিলেন, তখন থানায় কোনও মহিলা অফিসার ছিলেন না। ওসি তাই অভিযোগ নথিবদ্ধ করতে তাঁদের উল্টোডাঙা মহিলা থানায় পাঠান। সে দিনই নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্ত করে তার ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়।’’ পুলিশের বক্তব্য, ওসি আইন মেনেই যা করার করেছেন। ডিসি-র নির্দেশমাফিক তিনি উল্টোডাঙা মহিলা থানায় অভিযোগকারীকে পাঠিয়েছিলেন। বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিবেক শর্মা ও তমালকান্তি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্যাতিতা মেয়েটি ঝুপড়িবাসী। রাতে খালধারে কুকর্মের জন্য তাকে নিয়ে যাচ্ছিল এক যুবক। সে ওই বালিকার যৌন হেনস্থাও করে। স্থানীয় আর এক যুবক দেখতে পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy