প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার সালকিয়ায় শিশুকন্যাকে খুন করে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার ঘটনায় মৃতের স্ত্রী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ধৃত মেয়ে ও তাঁর বাবার নাম কুসুম রায় এবং শঙ্কর সাঁতরা।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, আট বছরের মেয়ে কথা লিখে যান অভিজিৎ।অভিজিতের পরিবারের এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখেই তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাঁকে ও তাঁর বাবা শঙ্করবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের হাওড়া আদালতে হাজির করিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। আদালত বাবা ও মেয়েকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে জানা গিয়েছিল, স্ত্রীর সঙ্গে অভিজিতের অশান্তির প্রধান কারণ ছিল কুসুমের সন্দেহপ্রবণ মানসিকতা। কিন্তু ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর উপরে অভিজিৎ-ই মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতেন। স্ত্রীকে তিনিই সন্দেহ করতেন। ওই দম্পতির প্রতিবেশীরা জানান, স্ত্রীকে বাড়ির বাইরে, এমনকি ছাদে পর্যন্ত যেতে দিতেন না অভিজিৎ। স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করতেন। এই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই কুসুম মাঝে মাঝে বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যেতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে অভিজিতের শ্বশুরবাড়ি। সেখানে একটি পানের দোকান চালান তাঁর শ্বশুর শঙ্কর। আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। কিন্তু মেয়েকে অত্যাচারিত হতে দেখে বাবা এসে মাঝেমধ্যে তাঁকে নিয়ে যেতেন। তদন্তকারীদের ধারণা, অভিজিৎ চূড়ান্ত মানসিক অবসাদ থেকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে নিজের সন্তানকে কেন তিনি খুন করলেন, তা পরিষ্কার হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy