কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের সেফ হোমকে হাসপাতালে পরিণত করা হচ্ছে
যাদবপুরের কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের পরে নিউ টাউনের হজ হাউসকেও কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। দু’টিই এত দিন সেফ হোম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের সেফ হোম পরিচালনা করছিল কলকাতা পুরসভা। অন্য দিকে, হজ হাউসের সেফ হোম রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে চলত।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম মঙ্গলবার বলেন, ‘‘হজ হাউসের সেফ হোমকে ৩০০ শয্যার কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হবে। আপাতত ১০০টি শয্যা থাকবে সেখানে। পরে ধাপে ধাপে আরও ২০০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হবে।’’ করোনা আক্রান্ত আশঙ্কাজনক রোগীরা যাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সাপোর্ট পেতে পারেন, তার পুরো ব্যবস্থা থাকছে। হজ হাউসের কোভিড হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকছে চার্নক হাসপাতাল। হজ হাউস সূত্রের খবর, আজ বুধবার সেখানকার একাংশ চার্নক হাসপাতালের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ওই হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত শর্মা বলেন, ‘‘১ মে থেকে হজ হাউসে কোভিড হাসপাতাল চালু করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। প্রথম ১০০টি শয্যার মধ্যে ২০টি শয্যা আইসিইউয়ে থাকবে। বাকি ৮০টি হবে সাধারণ শয্যা।’’ স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কোভিড রোগীর চাপ প্রতিদিন বাড়ছে। হজ হাউস কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চালু হলে সল্টলেক, রাজারহাট ও নিউ টাউনের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।’’
প্রশান্তবাবু আরও জানান, আজ বুধবার থেকেই হজ হাউসে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজ শুরু হবে। থাকবে আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতিও। প্রথম এক মাসে একশো শয্যার হাসপাতাল চালুর পরে বাকি ২০০টি শয্যার বন্দোবস্ত করার কাজ শুরু হবে। ওই ভবনের পঞ্চম থেকে নবম তল হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
এর পাশাপাশি, যাদবপুরের কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের সেফ হোমও চলতি সপ্তাহেই কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চালু হচ্ছে। সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ার জন্য মেডিকা হাসপাতালকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে রাজ্য সরকার। অতিরিক্ত ৩০০টি কোভিড-শয্যা পাওয়া যাবে সেখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy