ফাইল ছবি
এখনও বর্ষা আসেনি। তার আগে মরসুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিতেই ভেঙে গেল বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত বর্ষার সময়ে উত্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সারাই করেছিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তখনই অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, সংস্কার করা হলেও তার মেয়াদ হয়তো বেশি দিন স্থায়ী হবে না। সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করে ফের চলতি বছরে ভেঙেচুরে একসা হল এই রাস্তার বেশ কিছু অংশ।
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে যেখানে যশোর রোডের সঙ্গে মিশেছে, সেই সংযোগস্থলে রয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসন এবং দোকানপাট। সংযোগস্থলের রাস্তারও রীতিমতো বেহাল অবস্থা। এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বড় বড় গর্ত হয়ে ও রাস্তা ভেঙে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি, স্থানীয়েরা প্রয়োজনে গাড়ি বার করতেও ভয় পাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, এখন কড়াকড়ি চলাকালীন নয় তুলনামূলক ভাবে কম গাড়ি চলছে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে। যদিও সেই সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। বালি, বেলুড়, উত্তরপাড়া থেকে আসা প্রচুর অ্যাম্বুল্যান্স ইএম বাইপাসের ধারের হাসপাতালগুলিতে যায় এই পথ ধরেই। এই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে যাওয়া খুবই বিপজ্জনক। এক বাসিন্দার প্রশ্ন, ‘‘এখন না হয় লকডাউন চলছে। কিন্তু লকডাউন উঠে গেলে তো প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করবে। তখন রাস্তার কী অবস্থা হবে, ভেবেই ভয় হচ্ছে।’’ এক্সপ্রেসওয়ের ধারের একটি আবাসনের বাসিন্দা
সমীরবরণ সাহা বলেন, “মূল এক্সপ্রেসওয়ের পাশে সার্ভিস রোড তৈরি হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের বেহাল অবস্থা দেখে অনেক বড় ও ভারী গাড়ি যাতায়াত করছে সার্ভিস রোড দিয়ে। ফলত, সেই রাস্তাও ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করেছে।’’
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের যে অংশটি খারাপ হয়েছে, সেটি উত্তর দমদম পুরসভার অধীনে। ওই পুরসভার প্রশাসক সুবোধ চক্রবর্তী বলেন, “রাস্তা সংলগ্ন নিকাশি নালার কাজ সম্পূর্ণ না হলে জল জমবে। আর জল জমলে রাস্তা ভাঙবে। তাই আগে রাস্তা সংলগ্ন নিকাশি নালার কাজ ভাল ভাবে করা দরকার। এই রাস্তা স্থায়ী ভাবে সারানোর জন্য নগরোন্নয়ন দফতরকে অনুরোধ করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy