গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন টালা থানার ওসি। এ বার তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার জন্য অভিনব মিছিলের ডাক দেওয়া হল। শনিবার বিকেলে মিছিলের জন্য জমায়েতের ডাক দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রথমে জমায়েতের স্থান গোলপার্ক করা হলেও পরে পরিবর্তন করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, জমায়েত হবে এক্সাইড মোড়ে। তাঁরা কারা? উদ্যোক্তাদের একজন তনিমা দাস জানিয়েছেন, নাগরিকদের পক্ষ থেকে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক দল নেই।
মিছিলের প্রচারে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের পরের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে শুনে টালা থানার ওসি নাকি অসুস্থ? চলুন, দেখা করে আসি (অ)সুস্থ ওসির সাথে’’। মিছিলের উদ্যোক্তাদের দাবি, টালা থানার ওসিকে ছ’টি হাসপাতাল সুস্থ ঘোষণা করার পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। উদ্যোক্তারা এ-ও জানিয়েছেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন সেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ভবানীপুরের একটি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন টালা থানার ওসি।
আরজি কর হাসপাতাল টালা থানার অধীনে। ধর্ষিতা এবং নিহত চিকিৎসকের মামলাও টালা থানায় রয়েছে। ইতিমধ্যে থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা টালা থানার কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং অনেক প্রশ্নও তুলেছেন। কেন ময়নাতদন্তের আগে পুলিশের খাতায় অস্বাভাবিক মৃত্যু লেখা হয়েছিল সেই প্রশ্নও উঠেছে। সেই আবহেই এ বার টালা থানার ওসিকে দেখতে যাওয়ার মিছিল ডাকা হল। তনিমা বলেছেন, ‘‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা এড়াতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেই কারণেই আমরা মিছিল ডেকেছি।’’ উদ্যোক্তাদের তরফে বলা হয়েছে, মূলত যাদবপুর এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে এই মিছিলে জমায়েত হবেন মানুষ। কলকাতার আশপাশের এলাকা থেকেও অনেকে আসবেন বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে লাগাতার নাগরিক আন্দোলন চলছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে রবিবার ফের রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। শনি ও রবিবার কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অজস্র কর্মসূচি রয়েছে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে। তবে গোলপার্ক থেকে যে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে তা একেবারেই অভিনব। অনেকের মতে, সার্বিক ভাবে পুলিশের ভূমিকাকে কাঠগড়ায় তুলতেই এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই মিছিল ঘিরে পুলিশের কী ভূমিকা হয় সে দিকেও নজর রয়েছে অনেকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy