আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আগেই পুজোর অনুদান বয়কট করার ঘোষণা করেছে রাজ্যের নয়টি ক্লাব। এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়ল হুগলির আরও এক ক্লাবের। বিবৃতি দিয়ে অনুদান প্রত্যাখ্যানের কথা ঘোষণা করল শ্রীরামপুরের বৈদ্যবাটী সদগোপপাড়া মহিলা মিলন চক্র। ক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সরকারি অনুদান চাই না, চাই বিচার।
ক্লাবের তরফে শ্রীরামপুর মহকুমা শাসকের দফতরে এবং থানায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাঁরা চলতি বছরে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর অনুদান নেবেন না। চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চান তাঁরা। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে তবেই আগামী বছর অনুদান নেবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
পুজো কমিটির সভাপতি তপতী মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা মায়ের জাত। আমাদের কাছে মেয়েদের সুরক্ষা সবচেয়ে আগে। আমরা মনে করি, হাসপাতাল সব চেয়ে নিরাপদ জায়গা। আর সেই হাসপাতালেই যদি এক মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে এমন নারকীয় ঘটনা হয়, তা হলে তো তার প্রতিবাদ করতেই হয়। আমরা এ বছর সরকারের অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় কি না দেখি, তার পর অনুদান নিয়ে ভাবব।’’ পুজো কমিটির সদস্য মহালক্ষ্মী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড হয়েছে, আমরা মহিলারা তার প্রতিবাদ করবই। অনুদান চাই না, আমরা চাই বিচার।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, কলকাতার আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যানকারী ক্লাবের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। এর আগে হুগলির আরও চারটি ক্লাব অনুদান প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছিল। তারা হল, উত্তরপাড়ার বৌঠান সঙ্ঘ, উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ, আপনাদের দুর্গাপুজো এবং কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। প্রতিবাদে এ বছর অনুদানের আবেদনই করেনি তারকেশ্বরের আর এক ক্লাব। তাদের সকলেরই দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার চায় তারা। ইতিমধ্যে এই মর্মে তাদের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। একই সুরে অনুদান বয়কট করেছে জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর সন্ন্যাসীতলা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি এবং কলকাতার মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাবও।
উল্লেখ্য, চলতি বছর পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে সরকারি আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।