বিধাননগর পুরসভা।
বিধায়ক তহবিলের টাকা থেকে ২০১৪ সালে চারটি অ্যাম্বুল্যান্স কিনেছিল বিধাননগর পুরসভা। অভিযোগ, বর্তমানে তার মধ্যে পথে নামছে মাত্র একটি। ফলে প্রয়োজনের সময়ে অনেক সময়েই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন বাগুইআটি, কেষ্টপুর এলাকার বাসিন্দারা। গত কয়েক মাস ধরে বিধাননগর পুর এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার এমন বেহাল অবস্থা বলে অভিযোগ উঠলেও পুর আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, ঘুরিয়েফিরিয়ে চালানো হয় সবক’টি অ্যাম্বুল্যান্সই।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ফোন করা হয়েছিল নির্ধারিত নম্বরে। ফোনে জানানো হয়, একটি অ্যাম্বুল্যান্স চলছে। তবে সেটি তখন রোগী আনতে গিয়েছে। আর বাকি তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স খারাপ।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্সের একটি থেকে বিকট শব্দ হয়। কোনওটি আবার রাস্তায় নামার মতো অবস্থাতেই নেই। তাই বিপদে পড়লে স্থানীয় ক্লাব বা বেসরকারি ক্ষেত্রের অ্যাম্বুল্যান্সের উপরেই ভরসা করতে হলে পুরসভার নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স থাকার যৌক্তিকতা কোথায়, সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। সোমেশ্বর বাগুই নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন হলে বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারি পরিষেবার উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে।’’ আরও অভিযোগ, শুধু অ্যাম্বুল্যান্সই নয়, পুর এলাকায় শববাহী গাড়ির ক্ষেত্রেও পরিষেবার প্রায় একই হাল। সেখানেও পুরসভার পাঁচটি গাড়ির মধ্যে তিনটিরই অবস্থা বেহাল।
তবে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা না মেলার অভিযোগ মানতে চাইছেন না পুর আধিকারিকেরা। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়ের দাবি, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সগুলির মেরামতির প্রয়োজন রয়েছে। তবে গাড়ি খারাপ হওয়ার কথা ঠিক নয়। কেন পরিষেবা না-পাওয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’ পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, মেরামতির জন্য চারটি অ্যাম্বুল্যান্সই ঘুরিয়েফিরিয়ে চালানো হয়। তবে গাড়িগুলির বয়স বাড়ছে, তাই বিকল্প অ্যাম্বুল্যান্স কেনার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে বিধাননগর পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy