প্রতীকী ছবি
কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক কর্মীর মৃত্যু হল জ্বর ও শ্বাসকষ্টে। রবিবার ফুলবাগানের এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও মৃত্যুর সময়ে ওই পুলিশকর্মীর জ্বর ও প্রবল শ্বাসকষ্ট ছিল। তাদের দাবি, আগে তাঁর শ্বাসকষ্ট না থাকলেও দিন কয়েক আগে শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২ জুন জ্বর, বমি, ডায়রিয়া নিয়ে ফুলবাগানের নার্সিংহোমে ভর্তি হন পিটিএস-এ থাকা ওই কর্মী। সেখান থেকেই এম আর বাঙুরে করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দিয়ে যান। রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ৯ জুন তাঁকে নার্সিংহোম ছেড়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পরদিন থেকেই ফের অসুস্থতা বাড়ে। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। ফের আগের নার্সিংহোমেই ভর্তি হন তিনি। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর পরে করোনা পরীক্ষার জন্য বলা হলেও রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, মৃতদেহের কোভিড পরীক্ষা হবে না। পরিবার এবং পুলিশের একটি অংশের মতে, পিটিএস-এ বহু কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন এবং ওই কর্মী সেখানে থাকায় অনেকের সংস্পর্শেও এসেছিলেন। ফলে দ্বিতীয় বার পরীক্ষা করালে অন্য ফল হতেও পারত।
শনিবারই মৃত্যু হয়েছে বড়তলা থানার এক কনস্টেবলের। গত মাসে ডায়ালিসিস করানোর আগে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁকে সল্টলেকের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও কিডনির সমস্যায় ফের অসুস্থ হয়ে ২৩ মে একবালপুরের এক হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবার সূত্রের খবর, ডায়রিয়া হয়েছিল ওই পুলিশকর্মীর। কিছুতেই তা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। তবু ৩১ মে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়। শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়।
লালবাজারের খবর, মৃতদের এক জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। অন্য জন সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন। যদিও দুই পরিবারেরই কিছু প্রশ্ন রয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মৃত কর্মীর পরিবারের প্রশ্ন, রিপোর্ট নেগেটিভ হলে কেন জ্বর, শ্বাসকষ্ট সারছিল না? আবার বড়তলার কনস্টেবলের পরিবার প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy