হুমকি চিঠি পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। —ফাইল চিত্র।
বেনামী হুমকি চিঠি পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং যুগ্ম রেজিস্ট্রার সঞ্জয় গোপাল সরকার। ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে দেখে নেওয়া হবে। ওই চিঠি পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। স্নেহমঞ্জুর দাবি, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিঠির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে স্নেহমঞ্জুকে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁর মোবাইল ফোন ‘সুইচড অফ’ ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় চিঠি পান স্নেহমঞ্জু এবং সঞ্জয়। দু’টি পোস্টকার্ডে লেখা চিঠি দু’টির প্রেরক হিসেবে নাম রয়েছে অধ্যাপক রানা রায়ের। চিঠি দু’টিতে প্রথমেই দু’জনকে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। তার পর হুমকি দেওয়া হয়েছে, “পুলিশ মিথ্যে মামলায় সৌরভকে ফাঁসাচ্ছে। সৌরভ চৌধুরীর গায়ে একটা আঁচড় পড়লে তোমাদের জীবন শেষ করে দেব। রিভলভারের একটি গুলিই যথেষ্ট।” এর পরেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনের কাছেই তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই নামে কোনও অধ্যাপক রয়েছেন কি না। স্নেহমঞ্জু এবং সঞ্জয় দু’জনেই জানান, এই নামে কোনও অধ্যাপক নেই। এর পরেই চিঠির প্রেরকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ‘স্টেক হোল্ডার’দের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে রাতে পূর্ণ সময়ের এক জন আধিকারিক নিয়োগ করার প্রস্তাব ওই বৈঠকেই দিয়েছেন অধ্যাপকরা। ‘স্টেক হোল্ডার’দের বৈঠকের পরেই পড়ুয়ারা দাবি তোলেন, সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। তবে কোথায় সেই ক্যামেরা বসানো হবে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে পড়ুয়াদের জানাতে হবে। তাঁদের আরও দাবি, সিসি টিভির ফুটেজে কারা নজরদারি চালাবেন, তা-ও জানাতে হবে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু জানিয়েছিলেন, সব পক্ষের লিখিত মতামত পড়ার পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন উপাচার্য। তার ঠিক পরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় হুমকি চিঠি পেলেন রেজিস্ট্রার এহং যুগ্ম রেজিস্ট্রার।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে এক ছাত্র নীচে পড়ে যান। পরের দিন ভোরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। র্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ১৩ জনের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। সেই সৌরভের নাম তুলে এ বার এল হুমকি চিঠিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy