দক্ষিণ কলকাতার আকাশে বজ্রপাতের ঝলকানি ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
ভরদুপুরেই যেন সন্ধ্যা নেমেছে শহরে। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি ও মুহুর্মুহু বজ্রপাত। বুধবার এমন দৃশ্যের সাক্ষী রইল কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত সংখ্যক বজ্রপাতের তীব্র আওয়াজ মনে পড়িয়ে দিচ্ছিল কালীপুজোর সময়ের শব্দবাজির কথা!
কেন এ রকম হল, তা বুঝতে পুরো পরিস্থিতিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দফতর সূত্রের খবর, এ দিন কলকাতার উপরে একটি বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়েছিল। প্রায় দু’ঘণ্টার মতো সময় ধরে সেই মেঘ স্থায়ী হয়েছিল কলকাতা ও শহরতলির আকাশে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানাচ্ছেন, কোনও বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হলেও যদি তার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি না হয়, তা হলে সাধারণত মেঘ থেকে মেঘে (ক্লাউড টু ক্লাউড) বজ্রপাত হয়। কিন্তু তার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে বৃষ্টিকণা ‘কন্ডাক্টর’ হিসেবে কাজ করে। তখন মেঘ থেকে মাটিতে (ক্লাউড টু গ্রাউন্ড) বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ দিনও তা-ই হয়েছে। অধিকর্তার কথায়, ‘‘এই ঘটনা এত দিন রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতে হচ্ছিল। সেখানে এ রকম বাজ পড়ছিল। কিন্তু এ দিন বজ্রগর্ভ মেঘটি কলকাতার উপরেই ছিল। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। এ দিন আলিপুরে ৯৭.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই এত সংখ্যক বাজ পড়েছে।’’
আবহবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হাওয়ার তীব্র গতি, প্রবল বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাত— এই তিনটি ঘটনা একসঙ্গে ঘটতে সচরাচর দেখা যায় না। সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে এই তিনটি ঘটনা একসঙ্গে ঘটে থাকে। এ দিন যেমন প্রবল বৃষ্টি ও তার সঙ্গে ঘনঘন বাজ পড়লেও বাতাসের গতি তেমন ছিল না। তাই সংশ্লিষ্ট বজ্রগর্ভ মেঘটি শহরের আকাশে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। ফলে মেঘ থেকে মাটিতে বজ্রপাতের (ক্লাউড টু গ্রাউন্ড) সংখ্যাও এ দিন বেশি ছিল।
আবহবিজ্ঞানীরা এ-ও জানাচ্ছেন, সাধারণত বর্ষা যখন একটু দুর্বল বা ফের শক্তিশালী হওয়ার মুখে, এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। চলতি মাসে বর্ষা কিছুটা হলেও দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। ফলে সেটাও ঘনঘন বজ্রপাতের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy