গোলমালের খবর পেয়ে প্রথমে আসে আমহার্স্ট স্ট্রিট, জোড়াবাগান-সহ কয়েকটি থানার পুলিশ। এলাকায় নামানো হয় র্যাফ। প্রতীকী ছবি।
ঘটনার সূত্রপাত এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে। সেই হাতাহাতি গড়াল দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে। আর তারই জেরে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে থাকল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিট। সংঘর্ষের পাশাপাশি অবাধে ভাঙচুর এবং মারধরও চলে বলে অভিযোগ। মারধরের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলারাও। এই গোলমালে পাঁচ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। শেষে লালবাজার থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তেজনা থাকায় সোমবারও এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় একটি অনুষ্ঠান চলছিল। তার জন্য রাস্তার একাংশ বন্ধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনুষ্ঠান চলাকালীন ওই রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কয়েক জন যুবক। অভিযোগ, তাঁরা ছিলেন মত্ত অবস্থায়। এই নিয়ে এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বচসা বাধে বাইক-আরোহী ওই যুবকদের। তাঁদের এলাকার যুবকেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। এর পরে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাইক-আরোহী ওই যুবকেরা প্রায় ২০০-২৫০ জনকে নিয়ে এসে এলাকায় হামলা চালান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভাঙচুরের পাশাপাশি চলে দেদার ইটবৃষ্টি। অনুষ্ঠান-মঞ্চে উঠে উদ্যোক্তাদের মারধর করার পাশাপাশি চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করা হয়। গোলমালের খবর পেয়ে প্রথমে আসে আমহার্স্ট স্ট্রিট, জোড়াবাগান-সহ কয়েকটি থানার পুলিশ। এলাকায় নামানো হয় র্যাফ। তার পরেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় লালবাজার থেকে বিশাল বাহিনী আসে। পৌঁছন পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। দীর্ঘক্ষণ পরে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।
লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনায় উভয় পক্ষই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তে নেমে সোমবার জোড়াবাগান এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ শাহিদ ও মহম্মদ মাসুম রাজা। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। ওই ঘটনার পরে সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত, বিজয় ওঝারা এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবিও জানান। অন্য দিকে, এই সংঘর্ষের ঘটনার কথা উল্লেখ করে টুইটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy