Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

সরোবরে ছটপুজো বন্ধের সদিচ্ছা কতটা, উঠছে প্রশ্ন

যদিও কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে সরোবরে পুজো বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। এমনকি, বিকল্প জায়গায় ছটপুজো করতে প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কৌশিক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:০৮
Share: Save:

রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো বন্ধের নির্দেশ আগেই দিয়েছে পরিবেশ আদালত। কিন্তু এ নিয়ে প্রচারে এখনও সে ভাবে সাড়া মেলেনি। কেএমডিএ ও রাজ্য প্রশাসনের ‘সদিচ্ছা’ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তাই সরোবরে ছটপুজো বন্ধ করা আদৌ সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

যদিও কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে সরোবরে পুজো বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। এমনকি, বিকল্প জায়গায় ছটপুজো করতে প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। আগামী ২ থেকে ৩ নভেম্বর ছটপুজো। তার আগে এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে বিভিন্ন সংগঠন, পরিবেশকর্মী এবং কাউন্সিলরদের নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য জানিয়েছিলেন, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরে দু’বার আশপাশের কয়েকটি ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি, পরিবেশকর্মী ও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে কেএমডিএ সূত্রের খবর। কিন্তু সেই বৈঠকে আসেননি অনেকেই। ফলে সরোবরে যে ছটপুজো করা যাবে না, সেই খবর এখনও অনেকে জানেন না বলেই অনুমান কর্তৃপক্ষের। তাই ফের এ নিয়ে প্রচার শুরু করতে চলেছে কেএমডিএ।

কী ভাবে হবে এই প্রচার? কেএমডিএ সূত্রের খবর, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এলাকায় লিফলেট বিলি করা হবে। পোস্টার, ব্যানার দেওয়া ছাড়াও মাইকে ঘোষণা হবে। সরোবরের বিকল্প জায়গার কথাও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। ‘বিহারি রাষ্ট্রীয় সমাজ’-এর প্রতিনিধিদেরও জানানো হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। ওই সংগঠনের সভাপতি মণিপ্রসাদ সিংহ বলেন, ‘‘ভক্তদের জানিয়েছি। তাঁদের বেশির ভাগ কেএমডিএ-র প্রস্তাবে রাজি। তবে এর পরেও যাঁরা সরোবরে যাবেন, তাঁদের দায়িত্ব আমরা নেব না।’’ সরোবরে ছটপুজো বন্ধ করতে কলকাতা পুরসভা কেএমডিএ-কে সাহায্য করবে বলে জানান ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।

তবে সরোবরে ছটপুজো আটকাতে কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য প্রশাসন কতটা ইচ্ছুক, সেই প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। পরিবেশকর্মী নব দত্ত বলছেন, ‘‘ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও কার্যক্ষেত্রে সে রকম কিছু চোখে পড়েনি। গত বছরও প্রচুর ভক্ত সরোবরে যান। কয়েক দিন আগেই বিনা বাধায় পুজো দিতে সরোবরে যান বেশ কিছু মানুষ। ছটপুজোয় বিপুল সংখ্যক লোক প্রবেশ করতে চাইলে তখন কী হবে?’’

অন্য বিষয়গুলি:

Rabindra Sarobar Chhath Puja KMDA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy