বেআইনি গাড়ি ধরতে এ বার কোমর বেঁধে নামল কলকাতার পাবলিক ভেহিক্যাল্স ডিপার্টমেন্ট (পিভিডি)। বিভাগ সূত্রের খবর, বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে শুধু যে অনিয়ম রোখা যাবে তাই-ই নয়, সরকারি আয়ও বাড়বে। বিভাগের এক কর্তা জানান, চলতি মাসে মিনিবাসের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, অটো এমনকী, ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রেও এই অভিযান চলুবে। পিভিডি-র এই অভিযানের বিরোধিতা করছে মিনিবাস এবং বাসমালিক সংগঠনের নেতারা। তাঁদের মতে, মালিকদের বেকায়দায় ফেলতে এই অভিযান।
পিভিডি সূত্রের খবর, সাধারণত যে কোনও বাণিজ্যিক গাড়িকেই ত্রৈমাসিক, ষান্মাষিক বা বাৎসরিক হারে কর দিতে হয়। বেশির ভাগ গাড়ির মালিকেরা কর বাৎসরিকই জমা দেন। ওই কর্তা বলেন, ‘‘প্রতি বছর বাণিজ্যিক গাড়িগুলিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট (সিএফ) নিতে হয়। কর বকেয়া থাকলে সিএফ দেওয়া হয় না। কিন্তু অনেক গাড়িই কর বকেয়া রেখে সিএফ না করিয়ে চলছে। এর পরেই আমরা অভিযান শুরু করেছি।’’ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, পারমিট, সিএফ, দূষণ সংক্রান্ত শংসাপত্র ও কর সংক্রান্ত যে কোনও একটি না থাকলেই বেআইনি বলে ধরা হয়। স্বভাবতই কর ফাঁকি দিতে যে সব গাড়ি সিএফ করাতে আসছে না, সেগুলি বেআইনি হিসেবেই গণ্য হবে।
পিভিডি-র কর্তা জানান, ২০৩ জন মিনিবাস মালিককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মালিক গাড়ির সিএফ ও বকেয়া কর জমা দিতে উদ্যোগী না হন, তা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট গাড়ির রুট-পারমিট বাতিল করা যায় কি না, সে ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। কলকাতায় সবচেয়ে বেশি বেআইনি অটো চলে। এই অভিযান সফল হলে বেআইনি অটো অনেকটাই চিহ্নিত করা যাবে বলে দাবি পিভিডি কর্তাদের। যদিও বাসমালিক সংগঠনগুলির দাবি, তাদের বেকায়দায় ফেলতেই এ সব অজুহাত তোলা হচ্ছে। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটসের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হঠাৎ এই অভিযান চালানোর মানে নেই। এ ব্যাপারে সরকারের উচিত সঠিক নির্দেশিকা তৈরি করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy