ফাইল চিত্র।
কলকাতা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আরও একটি শাখা খোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। সল্টলেক ও কসবার পরে এ বার নতুন শাখাটি খোলা হচ্ছে বেহালায়।
কলকাতা শহরে জনবসতি যত বাড়ছে, গাড়ির চাপও ততই বাড়ছে। সে কারণেই বছর তিনেক আগে বেলতলায় কলকাতা ‘পাবলিক ভেহিক্লস ডিপার্টমেন্ট’ (পিভিডি)-এর কাজ বিকেন্দ্রীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই মতো গত কয়েক বছরে পিভিডি-র দু’টি শাখা চালু হয়েছে সল্টলেক এবং কসবায়। এ বার দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতার মানুষকে সুবিধে দিতে বেহালায় আরও একটি শাখা খোলার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যেই বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের কাছে ওই শাখা অফিস চালু করা হবে।
কসবা বা সল্টলেকের মতো বেহালাতেও পরিবহণ দফতরের সমস্ত কাজকর্মই হবে। তার মধ্যে
নতুন লাইসেন্স বা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তো আছেই, তার সঙ্গে গাড়ির সার্টিফিকেট অব ফিটনেস, কর আদায়, গাড়ির মালিকানা বদল— সমস্ত কাজই হবে সেখানে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, বেহালা
ছাড়াও ঠাকুরপুকুর, হরিদেবপুর, তারাতলা, খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ এলাকায় যে সব জায়গা পিভিডি-র অধীনে রয়েছে, সেগুলিই বেহালা আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসের
অধীনে নিয়ে আসা হবে। শুরুতে বেলতলা পিভিডি-র কর্মীদের একাংশকেই বেহালায় বদলি করা হবে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘বেলতলায় প্রায় ২০০ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের একাংশকে বেহালায় পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি, পিএসসি-তে ৩০০
মোটর ভেহিক্লস ইনস্পেক্টরকে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই নিয়োগের একটি বড় অংশকেই বেহালায় পাঠানো হবে। তাতে কর্মী-সমস্যা অনেকটাই মিটবে।’’
রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য হল, পরিবহণের বিভিন্ন পরিষেবাকে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়া। সে কারণেই পিভিডি-র এত শাখা চালু করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও শাখা খোলা হবে।’’
পিভিডি-র শাখা অফিসের পাশাপাশি বেহালায় একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্র এবং লাইসেন্সিং পরীক্ষা কেন্দ্রও খোলা
হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় রাজ্য সরকার ওই স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা কেন্দ্র খুলবে আগামী বছরের
শুরুতেই। ওই কেন্দ্র চালু হলে গাড়ি পরীক্ষা এবং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। রাজ্য পরিবহণ দফতরের ওই কর্তা বলেন, ‘‘কম্পিউটারের মাধ্যমে পুরো পরীক্ষা হওয়ায় ওখানে ফলাফল এ দিক-ও দিক করার কোনও সুযোগ থাকবে না। তাতে দুর্নীতি কমবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy