আলিপুর আদালত চত্বরে সিনিয়র ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপে ‘বিচার চাই’ স্লোগান দিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন ন’জন। আন্দোলনকারীদের দাবি, ওই ন’জনকে পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরেই তাঁদের আলিপুর আদালতে হাজির করানোর কথা। তার আগে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু হল। ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশও আলিপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সিনিয়র ডাক্তারেরা কয়েক জন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আলিপুরে গিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, ওই আন্দোলনকারীদের জামিনের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।
বুধবার ‘অভয়া পরিক্রমা’ কর্মসূচি ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। কর্মসূচি হল— মিনিডোরে করে আরজি কর এবং জয়নগরের নির্যাতিতার ‘প্রতীকী মূর্তি’ নিয়ে পুজোমণ্ডপে ঘুরবেন তাঁরা। সেই কর্মসূচি পালন করতেই ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। ঘটনাচক্রে, ওই পুজো তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমারের বলেই পরিচিত। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। সেই অভিযোগেই তাঁদের আটক করে লালবাজারের পথে রওনা দেয় পুলিশ।
খবর পেয়ে ধর্মতলা থেকে লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একটি দল। যোগ দেন বেশ কয়েক জন সাধারণ মানুষও। তাঁদের আটকাতে ঘিরে ফেলা হয় লালবাজার। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে বসানো হয় ব্যারিকেড। আন্দোলনকারীরা যাতে কোনও মতেই লালবাজারের আশপাশে না আসতে পারেন, সে জন্য রাস্তায় খালি বাস দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানে বসেই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। রাতভর চলে সেই অবস্থান।
আন্দোলনকারীদের দাবি, কোন মামলায় নয় আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানাতে প্রথমে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে বিতর্কের মুখে পড়ে রাত ৩টের সময় রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ মামলার বিস্তারিত তথ্য জানায় বলে দাবি তাঁদের। পুলিশ অবশ্য আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গ্রেফতারির খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট থেকে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা। তার পর আলিপুর আদালতের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টার সময় জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy