প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে পুজোর পরে স্কুল-কলেজ খুলতে পারে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু স্কুল খুললেও এখনই পুরো অফলাইনে ক্লাস করাতে চাইছে না শহরের বহু বেসরকারি স্কুল। তারা জানাচ্ছে, অনলাইন এবং অফলাইন— দু’টি পদ্ধতিতেই ক্লাসের কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ, প্রতিষেধক ছাড়া পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর বিষয়ে এখনও বহু অভিভাবকই দ্বিধাগ্রস্ত।
রাজ্যে সংক্রমণের বর্তমান লেখচিত্র দেখে পুজোর পরে দরজা খোলার বিষয়ে আশাবাদী শহরের বেশির ভাগ স্কুল। তবে সে ক্ষেত্রে প্রথমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু করার পক্ষেই মত দিচ্ছেন তাঁরা।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি বলেন, “প্রস্তুতি চলছে। সরকার অনুমতি দিলেই স্কুল খুলবে। কিন্তু এটাও দেখা হচ্ছে যে, কিছু দিন অনলাইনেও সমান্তরাল ভাবে ক্লাস করানো যায় কি না। অনেকেই পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে দিতে না-ও চাইতে পারেন। যদিও স্কুলে নিয়মিত জীবাণুনাশ করা হচ্ছে।”
দু’টি পদ্ধতিতেই ক্লাস করাতে হবে বলে জানালেন শ্রীশিক্ষায়তন স্কুলের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “অনেক অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। বিশেষত যারা গণপরিবহণে আসে, তাদের নিয়ে চিন্তা বেশি।’’
লা মার্টিনিয়ারের সচিব সুপ্রিয় ধর বলেন, “স্কুল খুলতে আমরা তৈরি। সরকারি নির্দেশ মেনে চলা হবে। তবে অভিভাবকেরা সন্তানদের কতটা স্কুলে পাঠাবেন, জানি না। তাই অনলাইন ও অফলাইন, দু’টি পদ্ধতিতেই যদি চালানোর অনুমতি মেলে, তা হলে প্রথমে ক’দিন সে ভাবেই স্কুল চালাব।”
একসঙ্গে দু’টি পদ্ধতির পক্ষেই মত দিচ্ছেন অভিভাবকদের একাংশও। সন্তানদের অন্তত প্রতিষেধকের একটি ডোজ় দেওয়া গেলে আশ্বস্ত হতেন তাঁরা। এক অভিভাবক শ্রেয়সী রায় বলেন, “অনেকেই বলছেন ছেলেমেয়েরা বাইরে বেরোচ্ছে। তা হলে স্কুলে বাধা কোথায়? কিন্তু স্কুলের মতো এতটা সময় ওরা মা-বাবাকে ছেড়ে থাকছে না। বাসে-ট্রামে যারা যায়, তারা কী করবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy