লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
বন্দুক ও স্ত্রীর গয়না চুরির অভিযোগ দায়ের করার ন’দিনের মাথায় অভিযোগকারী থানায় এসে জানালেন, সব পাওয়া গিয়েছে। বন্দুক ছিল সোফার নীচে, গয়না বিহারে স্ত্রীর কাছে। এই ঘটনায় অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে পুলিশের। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার মামলা করে তাঁর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, আদতে বিহারের বাসিন্দা, বছর পঞ্চান্নর ওই অভিযোগকারী প্রাক্তন সেনাকর্মী। নিউ আলিপুরে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। অবসরের পরে একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ নেন। তবে বর্তমানে তিনি কর্মহীন। ওই ব্যক্তি তাঁর কাছে থাকা দু’টি বন্দুকের মধ্যে একটি ডাবল ব্যারেল বন্দুক চুরি গিয়েছে জানিয়ে ১৩ জুন নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ করেন। আরও জানান, তাঁর স্ত্রীর কিছু গয়নাও নেই। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিহারের বাড়ি যাবেন বলে ফ্ল্যাট বন্ধ করে গিয়েছিলেন। ১২ তারিখ ফিরে দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজা খোলা।
তদন্তে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগও। ২১ জুন থানায় গিয়ে অভিযোগকারী জানান, সোফার নীচ থেকে বন্দুকটি মিলেছে। বিহারে স্ত্রীর কাছে রয়েছে বাকি গয়নাগুলি। তিনি দাবি করেন, দরজায় ঠিক ভাবে তালা না দিয়েই ট্রেন ধরতে ছুটেছিলেন। এতেই প্রশ্ন উঠছে, বন্দুক বিক্রির পরিকল্পনা করতেই কি চুরির গল্প ফেঁদেছিলেন ওই ব্যক্তি? অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। লালবাজার জানিয়েছে, তদন্ত এগোনোর পরে নিশ্চিত ভাবে সব বলা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy