(বাঁ দিকে) ওয়াটগঞ্জের সেই ঘটনাস্থল। (ডান দিকে) দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ময়নাতদন্তের জন্য। —ফাইল চিত্র।
ওয়াটগঞ্জে উদ্ধার হওয়া যুবতীর দেহাংশ পরীক্ষা করে বেশ কিছু নতুন তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে অনুমান, গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। তবে অপরাধী দেহের বাকি অংশ কাটার জন্য অন্য অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে মনে করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ কলকাতার ওয়াটগঞ্জের পরিত্যক্ত এলাকা থেকে এক যুবতীর দেহের টুকরো টুকরো অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই তরুণীর মাথায় সিঁদুর ছিল। কপালে ছিল টিপ। দেহের কিছু অংশ উদ্ধার হলেও তাঁর তলপেটের অংশ, হাত এবং পায়ের পাতা ছিল নিখোঁজ। পুলিশ সেই সমস্ত দেহের অংশ মঙ্গলবারই পাঠিয়েছিল ময়নাতদন্তের জন্য। আপাতত পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছিল তাঁর দেহ উদ্ধারের ১০ ঘণ্টা আগে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। সাধারণত ধারালো ছুরিতে এই ধরনের সরু কাটা দাগ হয়। তবে তাঁর শরীরের বাকি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাটার জন্য চপার অথবা করাত ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। আঘাতের চিহ্ণ দেখেই এমনটা অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।
যদিও পুলিশ নিশ্চিত, ঘটনাস্থলে এই কাজ করা হয়নি। অন্যত্র এই কাজ সম্পন্ন করে ওয়াটগঞ্জে এনে ফেলা হয়েছে।
পুলিশ ওই মহিলার দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহিলার পরিচয় জানতে পারেনি। প্রাথমিক ভাবে তাঁর মুখের সঙ্গে উত্তর কলকাতার এক নিখোঁজ মহিলার সঙ্গে মিল পাওয়া গেলেও পরে তা মেলেনি। পুলিশ অবশ্য সমস্ত থানাতেই ছবি পাঠিয়ে দ্রুত মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। এর মধ্যেই জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে ওয়াটগঞ্জের ঘটনা নিয়ে চিঠি এসেছে ডিজিপির কাছে।
জাতীয় মহিলা কমিশন জানিয়েছে, এই ঘটনায় অপরাধীকে দ্রুত চিহ্নত করে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে তারা। একই সঙ্গে চার দিনের মধ্যে এই ঘটনার তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্যপুলিশের ডিজির কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy