নাখোদা মসজিদে যুবককে খুনের চেষ্টায় কে বা কারা জড়িত, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। ছবি: সংগৃহীত।
নাখোদা মসজিদ থেকে মঙ্গলবার রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল মহম্মদ ফৈয়াজ আলম নামে এক যুবককে। তাঁকে প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই যুবককে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। তবে কে বা কারা জড়িত, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালে ফৈয়াজ আচ্ছন্ন অবস্থায় থাকলেও মাঝেমধ্যে ‘বাংলাদেশি, বাংলাদেশি’ বলে কিছু বলার চেষ্টা করছেন। তদন্তকারীদের অনুমান, অভিযুক্ত বাংলাদেশি হতে পারেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ফৈয়াজের মাথার খুলির হাড় ভেঙেছে বলে এমআরআই রিপোর্টে জানা গিয়েছে। বুধবার সেখানকার দুই চিকিৎসক দীপেন্দ্র প্রধান ও দেবর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন একটি দল প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁর অস্ত্রোপচার করে। আপাতত ওই যুবককে আইটিইউয়ে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ফৈয়াজের আদি বাড়ি বিহারে। কর্মসূত্রে মহাত্মা গাঁধী রোডে একটি চারতলা ফ্ল্যাটে থাকেন। এ দিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ঘর তালাবন্ধ। বাসিন্দারা জানালেন, ওই ঘরে থাকেন প্রায় ১০-১২ জন। প্রতিবেশী এক মহিলা বলেন, ‘‘ওঁরা ভোরে বেরিয়ে যান। অনেক রাতে ফেরেন।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, জোড়াসাঁকো থানা এলাকায় মুন্না নামে পরিচিত ফৈয়াজ। থানা লাগোয়া মেছুয়াপট্টির ফল ব্যবসায়ীদের একাংশ জানিয়েছেন, ফৈয়াজ দীর্ঘদিন আগে বাংলাদেশে আঙুর রফতানির কাজে ডলার কেনাবেচা করতেন। পুলিশ জেনেছে, নাখোদা মসজিদ এলাকার বিভিন্ন অতিথিশালায় বাংলাদেশিদের যাতায়াত বেশি। ডলার কেনাবেচার কাজ করায় বাংলাদেশের কোনও দুষ্টচক্রের সঙ্গে ফৈয়াজের জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
জোড়াসাঁকো থানার পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তে নেমেছেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকেরা। ফৈয়াজের মোবাইলের ‘কল লিস্ট’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যে বাংলাদেশি, সেটা অনেকটা পরিষ্কার। আহত যুবক এখনও কথা বলার অবস্থায় নেই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy