Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাইক-ট্যাক্সির নথি যাচাইয়ে পুলিশি তৎপরতা

একটি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা কিছু দিন আগে বাইক-ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করেছে। অভিযুক্ত যুবক তাদের হয়েই বাইক চালাতেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শিবাজী দে সরকার ও ফিরোজ ইসলাম
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২৩
Share: Save:

যাত্রী পরিবহণে নামা মোটরবাইকের প্রয়োজনীয় পারমিট রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশি তৎপরতা। গত শুক্রবার টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর কাছে এক যাত্রীকে পিছনে বসিয়ে যাচ্ছিলেন এক বাইকচালক। মাঝপথে তাঁকে দাঁড় করান এক পুলিশ অফিসার। বাইকের নথিপত্র দেখতে চান তিনি। দেখা যায়, বাণিজ্যিক ভাবে বাইক চালাতে প্রয়োজনীয় পারমিট নেই ওই চালকের। তাই মোটরযান আইনের নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন অফিসার।

একটি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা কিছু দিন আগে বাইক-ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করেছে। অভিযুক্ত যুবক তাদের হয়েই বাইক চালাতেন। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত মোটরবাইক বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করার জন্য ওই বাইকচালককে জরিমানা করা হয়েছে। শুধু টালিগঞ্জ নয়, এই অভিযোগে শহর জুড়ে অনেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

লালবাজার সূত্রের দাবি, চলতি সপ্তাহেই শহরের সমস্ত ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীদের বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত মোটরবাইক বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে দেখলে চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মোটরযান আইনের ৩৯/১৯২ ধারা অনুযায়ী, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনের শর্ত অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ওই ধারাতেই বাইক-ট্যাক্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন রাস্তায় থাকা ট্র্যাফিক সার্জেন্টরা। রেজিস্ট্রেশনের শর্ত অমান্য করার জন্য চালকদের পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।

পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতায় দু’টি সংস্থা এই পরিষেবা দেয়। যার জন্য কয়েক হাজার বাইকচালককে নিযুক্ত করা হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে বুক করলেই বাইক নিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় হাজির হন চালক। অ্যাপ-ক্যাবের তুলনায় ভাড়া অনেকটাই কম বলে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই পরিষেবা।

পুলিশি ধরপাকড়ে অখুশি বাইকচালকেরা দোষ চাপাচ্ছেন সংস্থার উপরেই। গড়িয়ার বাসিন্দা এক চালক জানান, তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। এসি সারাইয়ের কাজ করলেও তাতে সংসার চলত না বলে ওই যুবক বাইক-ট্যাক্সি চালানোর কাজে নামেন। তাঁর দাবি, সংস্থা প্রথমেই বলেছিল, ব্যক্তিগত বাইকে যাত্রী পরিবহণ করলেও পুলিশ ধরপাকড় করবে না। উল্টোডাঙার বাসিন্দা আর এক চালক জানালেন, সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত সমস্যা মিটবে।

পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, বাইকে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণ করতে হলে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে বাণিজ্যিক লাইসেন্সের আবেদন করতে হবে। কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী আরও তিন জেলায় পরিষেবা দিতে পারমিট নিতে হবে। ওই পারমিট ছাড়া যাত্রী পরিবহণ বেআইনি। এ ছাড়া, পাঁচ বছরের বেশি পুরনো বাইক কোনও ভাবেই যাত্রী পরিবহণ করতে পারে না। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বাইক-ট্যাক্সিতে হলুদ নম্বর প্লেট ও পারমিট না থাকলে পুলিশ চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।’’ চালকেরা সমস্ত শর্ত পূরণ করে তবে রাস্তায় নামছেন কি না, তা দেখার দায়িত্ব সংস্থাগুলির। বাইক-ট্যাক্সি সংস্থাগুলি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata Traffic Police Bike Taxi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy