প্রতীকী ছবি।
পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু আহিরীটোলা লঞ্চঘাট থেকে নিখোঁজ শিশুর কোনও খোঁজ পেল না পুলিশ। তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ গঙ্গার দু’দিকের জেটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। মনে করা হচ্ছে ওই শিশুটি আহিরীটোলা লঞ্চ ঘাট বা জেটি থেকে নয়, লঞ্চ থেকে নিখোঁজ হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের চার নম্বর রেল গেট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ নাট উত্তর বন্দর থানায় এবং হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তিনি জানান, ওই দিন তিনি তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে বাঁধাঘাট থেকে লঞ্চে করে আহিরীটোলার জেটিতে নামেন। সেখানে নেমে তিনি বড় মেয়েকে নিয়ে জল আনতে গিয়েছিলেন। পরে ফিরে এসে দেখেন ছোট মেয়ে নেই।
নিখোঁজ ডায়েরি পেয়ে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ জানতে পারে সন্তোষবাবুর অভিযোগ ঠিক নয়। ঘটনার দিন তিনি ছিলেন না। তাঁর দুই শিশুকন্যা লঞ্চে যাতায়াত করেছিল। আসলে তাঁর বছর দশেকের এবং বছর পাঁচের দুই মেয়ে প্রতিদিনই দেবী অন্নপূর্ণা লঞ্চে খেলা দেখায়। সে দিনও তাঁর দুই মেয়ে লঞ্চে খেলা দেখাচ্ছিল। পুরো বিষয়টি জানার পরে পুলিশ আহিরীটোলার জেটির এবং বাঁধাঘাট জেটিতে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে। ফুটেজ দেখে পুলিশ এ বার সন্তোষবাবুর সঙ্গে কথা বলতে চাইছে। কেন তিনি ঘটনার দিন সন্তানদের সঙ্গে ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন, তা জানতে চাইছে পুলিশ।
সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সে দিন ওই শিশুটি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তার দিদির সঙ্গে দেবী অন্নপূর্ণা লঞ্চে ছিল। সে দিদির সঙ্গে পাঁচ বার ওই একই লঞ্চ থেকে আহিরীটোলা জেটিতে নেমেছে। কিন্তু ১১টা ৮ মিনিট নাগাদ আহিরীটোলা থেকে সেই লঞ্চ ছেড়ে দেওয়া পর্যন্ত তাকে লঞ্চেই দেখা যায়। তার পর থেকে আর ওই শিশুটিকে দেখতে পাওয়া যায়নি।
অন্য দিকে বাঁধাঘাটের জেটিতে লাগানো সিসি ক্যামেরাতে শিশুটিকে চার বার দেখা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পরে পুলিশ জানায়, আহিরীটোলা জেটি থেকে তাকে লঞ্চে উঠতে দেখা গেলেও অপর প্রান্তে বাঁধাঘাটে তাকে নামতে দেখা যায়নি। তা থেকে মনে করা হচ্ছে সে লঞ্চ থেকেই নিখোঁজ হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তার লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy