প্রতীকী চিত্র।
প্রৌঢ়কে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, ধৃত পিয়ালি আঢ্যের সঙ্গে এই ঘটনায় দ্বিতীয় কেউ জড়িত কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারল না পুলিশ।
গত ২১ মার্চ ভোরে উত্তর বন্দর থানা এলাকার চাঁদপাল জেটির কাছে একটি পার্কের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বিশ্বনাথ আঢ্য নামে ওই প্রৌঢ়ের দগ্ধ দেহ। তদন্তে নেমে সেই দিনই বাবার গায়ে আগুন লাগিয়ে খুনের অভিযোগে তাঁর মেয়ে পিয়ালিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পিয়ালিকে সোমবার ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য ধৃতকে ফের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। বিচারক আগামী শনিবার পর্যন্ত পিয়ালিকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দা বিশ্বনাথবাবুকে খুনের ঘটনায় ধৃত পিয়ালিকে জেরা করার সময়ে সে বার বারই নানা রকম তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল। তাই তার
মামাবাড়ির এক আত্মীয়াকে সামনে বসিয়ে জেরা করা হয়েছিল পিয়ালিকে। সে সময়েই সে দাবি করে, ঘটনার সময়ে সেখানে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিল না। সে নিজেই পরিকল্পনামাফিক বাবাকে পুড়িয়ে খুন করেছে বলে দাবি করে পিয়ালি। অন্য দিকে পুলিশ চাঁদপাল জেটি সংলগ্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে সোমবার পর্যন্ত তৃতীয় কোনও ব্যক্তির উপস্থিতির কথা জানতে পারেনি।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে জেরায় পিয়ালি দাবি করেছিল, ঘটনার দিন আরও এক জন উপস্থিত ছিল। কিন্তু সেই সন্দেহভাজনকে জেরা করেও ঘটনাস্থলে তার উপস্থিত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই এই তথ্য যাচাই করতে পিয়ালিকে ফের জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, কোনও তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির বিষয়ে পিয়ালি বিভ্রান্ত করছিল। তাই তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়াকে সামনে বসিয়ে জেরা করা হয়। আর তাতেই সে দ্বিতীয় অভিযুক্তের উপস্থিতির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে। তবে পিয়ালি বার বার নিজের বয়ান বদল করেছে। তাই ভাল ভাবে তদন্ত করে তবেই দ্বিতীয় অভিযুক্তের উপস্থিতির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পিয়ালির বাড়ি থেকে একটি ঠান্ডা পানীয়ের বোতল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ওই বোতলের মধ্যেই নেশার পানীয় মিশিয়ে তা বিশ্বনাথবাবুকে খাইয়েছিল পিয়ালি। পাশাপাশি, ঘটনার দিন পিয়ালির পরনের পোশাকও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy