ডেরা প্রধান গুরমীত রাম রহিম। —ফাইল চিত্র।
জেলবন্দি ডেরা প্রধান গুরমীত রাম রহিমকে ২০০২ সালের খুনের মামলায় নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। ওই মামলায় গুরমীত এবং বাকি অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে এ বার ডেরা প্রধানকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সিবিআইয়ের আবেদনটি প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে যায়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ শুক্রবার ডেরা প্রধান এবং মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে। বস্তুত, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আগেই মৃতের পরিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে সেই মামলা। শুক্রবার বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলাটিও বিচারপতি ত্রিবেদীর বেঞ্চে বিচারাধীন মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
২০০২ সালের জুলাই মাসে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে গুলি করে হত্যা করা হয় রঞ্জিত সিংহকে। গুরমীতের সংগঠন ডেরার প্রাক্তন ম্যানেজার ছিলেন রঞ্জিত। ডেরার রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। শোনা যায় যে, একটি লিফলেট ছড়ানোয় যুক্ত ছিলেন তিনি। সেই লিফলেটে লেখা ছিল, কী ভাবে হরিয়ানার সিরসায় ডেরার মূল আশ্রমের ভিতর মেয়েদের শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করতেন রাম রহিম। তদন্তকারীদের দাবি, রঞ্জিতই সেই লিফলেট ছড়িয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হয় এবং তার জেরেই খুন হন ডেরার প্রাক্তন ম্যানেজার।
ওই খুনের মামলায় ২০২১ সালে রাম রহিম এবং আরও চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পৃথক পৃথক অঙ্কের জরিমানার নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। রাম রহিমের জরিমানা হয় ৩১ লক্ষ টাকা। নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, রঞ্জিতকে খুনের গোটা পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন রাম রহিমই। পরে গত বছরের মে মাসে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট ডেরা প্রধান এবং বাকি অভিযুক্তদের খুনের মামলায় বেকসুর খালাস করে দেয়।
২০০২ সালের ওই খুনের মামলায় হাই কোর্ট বেকসুর খালাস করলেও, অন্য মামলায় এখনও জেলবন্দি রয়েছেন ডেরা প্রধান। আশ্রমের ভিতরে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৭ সালে ডেরা প্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রাম রহিমের যৌন ‘কেলেঙ্কারি’ প্রকাশ্যে নিয়ে আসায় খুন হন সাংবাদিক রাম চান্দের প্রজাপতিও। সেই মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হন ডেরা প্রধান। বর্তমানে তিনি রয়েছেন রোহতকের সুনারিয়া জেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy