প্রতীকী ছবি।
স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে, বুধবার দিনভর টানাপড়েন চলল রূপান্তরকামী এক তরুণীর ‘উদ্ধার’ ও ‘পুনর্বাসন’ নিয়ে। বালি সেতুর কাছে গঙ্গায় মঙ্গলবার তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ। এর পরে কোথায়, কী ভাবে তাঁর পুনর্বাসন হবে তা নিয়ে টানাপড়েন চলে। ওই তরুণীকে লক আপে রাখলে বা হোমে পাঠালে সমস্যা হতে পারত বলে জানায় পুলিশ।
২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নালসা রায়ে রূপান্তরকামী তথা তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের সমান মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছিল। কিন্তু সেই অধিকারগুলির প্রয়োগ নিয়ে পদে-পদে টানাপড়েন চলছে এখনও। এ ক্ষেত্রেও সেটাই দেখা গিয়েছে বলে মনে করছেন তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার বিষয়ে সচেতন সমাজকর্মীরা। তবে এ ক্ষেত্রে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিষয়টি দেখেছে বলে মত তাঁদের। বড় বড় চুলের ১৯ বছরের রূপান্তরকামী মেয়েটিকে প্রথমে ‘হিজড়ে’ বলে ধরে নিচ্ছিলেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। কিন্তু পুলিশের লোকেরাই তাঁর সুষ্ঠু পুনর্বাসন কী ভাবে হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা তথা সমাজকর্মী নিতাইদাস মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে রূপান্তরকামীদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ করে পুলিশ। তখন মধ্যস্থতা করেন ট্রান্সজেন্ডার উন্নয়ন বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য রঞ্জিতা সিংহ।
রঞ্জিতার কথায়, ‘‘রূপান্তরকামী মেয়েটি ও তার বাড়ির লোককে বোঝানো হয়, পরস্পরের সমস্যার দিকগুলি বুঝতে। মেয়েটিকে আমরা বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিয়েছি।’’ রঞ্জিতার কথায়, ‘‘তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত ছেলেমেয়েদের সমস্যাগুলি পুলিশ-প্রশাসনকে অন্য ভাবে দেখতে হবে। তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, যা সচরাচর করা হয় না।’’ রাজ্যে খাতায়-কলমে রূপান্তরকামীদের জন্য বোর্ড থাকলেও তা কার্যত অকেজো হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। গঙ্গা থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণী অবশ্য এখন তাঁর পরিবারের কাছেই ফিরে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy