মঙ্গলবারই খুলতে পারে এই চিৎপুর লেভেল ক্রসিং। নিজস্ব চিত্র
অবশেষে যাত্রী এবং পুলিশের একটি অংশের দাবি মতোই পরিবর্তন করা হচ্ছে লকগেট উড়ালপুলের ব্যবহার। এত দিন সেটি দিয়ে উত্তরমুখী গাড়ি চলাচল করত। আগামিকাল, মঙ্গলবার থেকে সেই পথে শুধুই দক্ষিণমুখী গাড়ি চলবে। পাশাপাশি, ওই দিন থেকে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ বেশ কিছু রাস্তার অভিমুখ পরিবর্তন করবে। মঙ্গলবারই খুলে দেওয়া হবে চিৎপুর লেভেল ক্রসিং। নতুন ভাবে উত্তরের যান-শাসন অনেকটাই জটমুক্ত করবে বলে মনে করছেন ট্র্যাফিক দফতরের আধিকারিকেরা।
লকগেট উড়ালপুল ধরে কলকাতা থেকে উত্তরমুখী গাড়ি বি টি রোডের দিকে যাওয়ার বদলে দক্ষিণমুখী হিসেবে ব্যবহার হবে। বি টি রোড থেকে ওই পথে বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরবাইক সরাসরি বাগবাজারের দিকে আসবে। লকগেট উড়ালপুলের ঠিক পাশের রাস্তা কাশীপুর রোডেও বদলাচ্ছে গাড়ির অভিমুখ। মঙ্গলবার থেকেই দিনভর ওই পথে উত্তরমুখী গাড়ি চলতে শুরু হবে। এত দিন দক্ষিণমুখী রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হত সেটি।
লকগেট উড়ালপুলকে উত্তরমুখী রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করায় দমদম-চিড়িয়ামোড়ে বিপুল যানজট হত। কারণ চিড়িয়ামোড়ের ওই সংযোগস্থলে উত্তর এবং দক্ষিণমুখী গাড়ি মুখোমুখি এসে পড়ায় যান চলাচল থমকে যাচ্ছিল। সেই পরিস্থিতি এড়াতেই লকগেট উড়ালপুলকে দক্ষিণমুখী এবং নতুন লেভেল ক্রসিংকে উত্তরমুখী রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে দেখতে চাইছে পুলিশ।
টালা সেতুর বিকল্প রাস্তা খুলতে মাসখানেক আগেই চিৎপুরে লেভেল ক্রসিং তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। রেল এবং কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, নতুন লেভেল ক্রসিং এবং তার সংযোগকারী রাস্তাটি ২৮ ফুট চওড়া। ফলে ওই রাস্তা একমুখী হিসেবে ব্যবহার করলে যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছেন ট্র্যাফিকের কর্তারা। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, লেভেল ক্রসিং দিয়ে উত্তরমুখী গাড়ি চালানো হবে। তবে রাতে ওই রাস্তার দু’দিক দিয়েই পণ্যবাহী গাড়ি চলবে। রেল সূত্রের খবর, লেভেল ক্রসিং দিয়ে প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর চক্ররেল চলে। ওই সময়ে পাঁচ মিনিট করে গেট বন্ধ রাখা হবে।
এত দিন উত্তর শহরতলি থেকে আসা বাস-মিনিবাসকে কলকাতায় ঢুকতে মিল্ক কলোনি, রাজা মণীন্দ্র রোড ঘুরে বেলগাছিয়া সেতু ধরতে হত। ওই পথে বাসের জ্বালানি খরচ অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে এবং গন্তব্যে পৌঁছতেও সময় বেশি লাগছে বলে অভিযোগ আসছিল। একাধিক রুট অলাভজনক হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করছিল বাসমালিক সংগঠনগুলি। নতুন ব্যবস্থায় সেই সমস্যা কমবে বলে মনে করছেন বাস সংগঠনের কর্তারাও। ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘নতুন রাস্তা চালু হলে ঘুরপথের জটিলতা অনেকটাই কমবে। উত্তর শহরতলি থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীদের সময়ও বাঁচবে।’’
তবে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা নতুন ব্যবস্থাকে এখনই চূড়ান্ত বলে দাবি করছেন না। একাধিক রাস্তায় যান চলাচলের অভিমুখ বদলের পরে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, আগামী ১৫ দিন তা সরেজমিনে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy