প্রতীকী ছবি।
খাস কলকাতায় পুলিশের জালে ভিন্দেশি যুবক। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা (অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস) এবং কলকাতা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রবিবার আনন্দপুরের গুলশন কলোনি এলাকা থেকে মাহফুজ়ুর রহমান নামে বছর তিরিশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলায়। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন আরও ১৭ জনকে। অনুমান, তাদের সকলকে বিদেশে পাঠানোর নামে মাথাপিছু দেড়-দু’লক্ষ টাকা করে নিয়েছিল মূল অভিযুক্ত।
দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার তরফে মাহফুজ়ুরের সম্পর্কে জানানো হয় লালবাজারকে। এ-ও জানানো হয়, কলকাতায় লুকিয়ে রয়েছে সে। তার পরেই অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থানের সূত্রে ধরে এ দিন গুলশন কলোনিতে যৌথ অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ এটিএস এবং কলকাতা পুলিশের একটি দল।
তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত মাহফুজ়ুর। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত ছিল তার। তবে সে কত দিন আগে ভারতে এসেছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ আছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
মাহফুজ়ুর ছাড়াও এ দিন আরও ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ। ধৃতেরা মাহফুজ়ুরের সঙ্গে থাকছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে তল্লাশি চালিয়ে ধৃতদের থেকে মিলেছে একাধিক পাসপোর্ট, আধার কার্ড-সহ বিভিন্ন নথিপত্র। সেগুলি আসল কি না, তা দেখছেন তদন্তকারীরা।
গুলশন কলোনিতে বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও একাধিক ঘটনায় সামনে এসেছে ওই এলাকার নাম। যদিও কলকাতা পুলিশের দাবি, বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে ওই এলাকায় মাঝেমধ্যেই অভিযান হয়। নতুন কোনও ভাড়াটে এলে তাঁর সম্পর্কে সব তথ্য পুলিশকে জানানোর কথা বলা আছে। কিন্তু তার পরেও অভিযুক্তের আত্মগোপন করে থাকার ঘটনায় পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy