—প্রতীকী চিত্র।
বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার জগৎপুরে ড্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলার কঙ্কালটি কার, সেই রহস্য উদ্ঘাটনের প্রাণপণ চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কার্যত অন্ধকারেই হাতড়াচ্ছে তারা। পুলিশের অনুমান, অন্তত বছরখানেক আগে খুন হয়েছেন মহিলা। কিন্তু তিনি কে, কোথাকার বাসিন্দা, তা এখনও জানা যায়নি বলেই কমিশনারেট সূত্রের খবর। মৃতার পরিচয় জানতে বিভিন্ন থানা এলাকায় গিয়ে নিখোঁজদের সম্পর্কে খবর নেওয়া চলছে বলেও জানা গিয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগে বাগুইআটি থানা এলাকার একটি বাড়ির একতলার ঘরের শৌচাগারে রাখা জলের ড্রামের ভিতর থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার হয়। সিমেন্ট দিয়ে ওই ড্রামের মুখ বন্ধ করে দেওয়া ছিল। বাড়ির মালিকের থেকে ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানতে পারে, ভাড়া নেওয়া অবস্থায় ঘরটি তালাবন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন নেপালের বাসিন্দা এক দম্পতি। আপাতত হন্যে হয়ে সেই পরিবারের খোঁজ করছে পুলিশ।
তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে এখনই কিছু জানাতে চাইছে না পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করেছে তারা, যাঁর মাধ্যমে ওই দম্পতি জগৎপুরের বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ওই দম্পতি তাঁকে ওই বাড়ি ছেড়ে গা-ঢাকা দিতে বলেছিলেন। কারণ, ধৃত ব্যক্তিও এক সময়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই দম্পতি তাঁকে জানিয়েছিলেন, ঘরের ভিতরে কিছু একটা ঘটেছে। জানাজানি হলে থানা-পুলিশ হতে পারে। মহারাষ্ট্র থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃতকে জেরা করে পুলিশের ধারণা হয়েছে, ওই ঘরটিতে এক সময়ে দেহ ব্যবসা চলত। সেখানে তরুণীদের অনেকেরই যাতায়াত ছিল। তাঁদেরই কেউ খুন হয়েছেন কি না, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, সম্ভাব্য সব রকম উপায়ে খোঁজা হচ্ছে ওই দম্পতিকে। ঘরে তালা দিয়ে চলে যাওয়ার পরে তাঁরা বাড়ির মালিককে জানিয়েছিলেন, জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তাঁরা চলে গিয়েছেন। ঘরটি দখলে রাখার জন্য তাঁরা কিছু দিন ভাড়ার টাকাও পাঠিয়েছিলেন বাড়ির মালিককে। সেই জরুরি পরিস্থিতি ওই খুনের ঘটনা কি না, তাই বুঝতে চাইছে পুলিশ। বাড়ির মালিক ওই ভাড়া বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে থাকেন না। তা সত্ত্বেও কেন তিনি কিছুই বুঝতে পারলেন না, তা-ও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy