১১২ বছরের পুরনো আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের সঙ্গে ঘাঁটি গেড়েছিল শ’খানেকের উপর বেড়ালও। গত মঙ্গলবার সেখানকার বন্দিদের বারুইপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নতুন ঠিকানায় গিয়েছে প্রায় ১৫-২০টি বেড়াল। বাকিদের পুনর্বাসনের আর্জি জানিয়েছিলেন আলিপুর জেলের ‘প্রাক্তনী’রা। যদিও তা এখনও পর্যন্ত আর্জির পর্যায়েই রয়ে গিয়েছে।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের সঙ্গে বেড়ে উঠেছে বেড়ালেরা। জেলের মেডিক্যাল চৌকার পাশেই প্রায় একশোর বেশি বেড়ালের ঘাঁটি ছিল। ছয় এবং দশ নম্বর ওয়ার্ডের পাশেও ওঠা-বসা ছিল বহু বেড়ালের। সে কারণে বারুইপুরে বেড়ালদের নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন বন্দিদের একটি অংশ। তাঁরা এ-ও বলেছিলেন, বেড়ালদের অন্যত্র পুর্নবাসন দেওয়া হোক। কিন্তু তা সরাসরি করতে পারেননি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মতে, ও ভাবে তো বেড়ালদের নিয়ে যাওয়া যায় না! যারা এখনও আলিপুরে রয়ে গিয়েছে, ধীরে ধীরে পার্শ্ববর্তী এলাকায় গিয়ে তারা খাবার খুঁজে নেবে।
শুধু বেড়ালই নয়। আলিপুর জেলে ছিল বহু ফলের গাছ। ছিল ফুলের বাগানও। সেগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলতে চাননি কারাকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy