রাস্তা আটকে মিছিল-সমাবেশ এবং তার জেরে যানজট — মঙ্গলবার ফের ভোগান্তির শিকার হলেন সাধারণ মানুষ।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে মেয়ো রোডে সংহতি দিবসের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। এ দিকে বিকেল তিনটেয় শহিদ মিনারে ছিল বিরোধী বামেদের সমাবেশ। শাসক ও বিরোধীদের এই জোড়া সমাবেশে মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
পুলিশ জানায়, শাসক দলের ওই সমাবেশের জন্য ঘণ্টা তিনেকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় মেয়ো রোড। অভিযোগ, এর জেরে আউট্রাম রোড, চৌরঙ্গি রোড, জওহরলাল নেহরু রোড ও স্ট্র্যান্ড রোডে গা়ড়ির গতি শ্লথ হয়ে যায়। যদিও পুলিশ কর্তাদের দাবি, মেয়ো রোডের ওই সমাবেশের জন্য শহরে যান চলাচলে প্রভাব পড়েনি।
টালিগঞ্জ থেকে নাকতলা-হাওড়া রুটের একটি মিনি বাসে উঠেছিলেন কুঁদঘাটের বাসিন্দা সৌমেন রায়। বললেন, ‘‘একটি কাজে হাওড়া যাচ্ছিলাম। স্ট্র্যান্ড রোডে আধ ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকায় পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। ফলে সেই কাজ আর হয়নি।’’
এ দিকে, শহিদ মিনারে বামেদের সমাবেশের জন্য সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার এবং বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন সমর্থকেরা। জওহরলাল নেহরু রোড ধরে আসা মিছিলের জন্য কুইন্স ওয়ে দিয়ে কিছু গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে একটি মিছিল শহিদ মিনার আসে। এই মিছিলটির পিছনে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। পুলিশ সূত্রে খবর, এস এন ব্যানার্জি রোড পার হতে মিছিলটির আধ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ফলে ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের একাংশে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ দিন অসুস্থ মা’কে নিয়ে রাস্তায় যানজটে আটকে ছিলেন খিদিরপুরের বাসিন্দা আখতার আলি। বললেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে মা’কে নিয়ে বাড়িতে ফেরার সময়ে মিছিলের জন্য এসএন ব্যানার্জি রোডে মিনিট চল্লিশ আটকে ছিলাম।’’
কিন্তু কাজের দিনে শহরের প্রাণকেন্দ্রে দু’টি রাজনৈতিক দলকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হল কেন? পুলিশের এক কর্তা বললেন, ‘‘সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমাদেরও কিছু করার থাকে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy