কলকাতা থেকে অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া নিয়ে বাইরে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কলকাতা থেকে দামি দামি গাড়ি ভাড়া নিয়ে, ভাড়ার টাকা না মিটিয়েই ভিন্রাজ্যে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া নিয়ে এই চক্র চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়ে এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে চারটি গাড়িও। এখনও একাধিক অভিযুক্ত পলাতক। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
সম্প্রতি কলকাতার নেতাজিনগর থানায় এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানকার এক বাসিন্দা গত সোমবার থানায় জানান, অ্যাপ ব্যবহার করে তাঁর দামি একটি গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়ার পাওনা টাকা মেটানো হয়নি। গাড়িটিও আর ফেরত আসেনি। গাড়িটি উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে নেতাজিনগর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
জিপিএস ব্যবহার করে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি রয়েছে বিহারে। তার পর নেতাজিনগর থেকে পুলিশের একটি দল গাড়িটি খুঁজতে বিহারে যায়। সেখান থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ। সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, বাপি সর্দার, লাকি সাউ নামে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের খুঁজছে পুলিশ। সোমনাথই অ্যাপের মাধ্যমে গাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
একই ধরনের অভিযোগ কিছু দিন আগে দায়ের হয়েছিল কসবা থানাতেও। সেখানকার দু’টি পৃথক ঘটনায় এই একই দল যুক্ত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। জিপিএস ব্যবহার করে বর্ধমানের মেমারি থেকে চারটি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িগুলি পাওয়া গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানের পুলিশের সাহায্য নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। গত ১৭ জুলাই এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই গাড়িগুলিও রাজ্যের বাইরে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ির মালিকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে এবং গাড়িগুলি ভাড়া নেওয়া হয়। অভিযুক্তেরা আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে মালিকদের আরও সতর্ক করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy